ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

লকডাউনে বিপাকে খামারিরা

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
🕐 ১:২১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ০৯, ২০২০

করোনা ভাইরাসের বিস্তার রাধে সারা দেশে অঘোষিত লকডাউন চলছে। অফিস, আদালত, যানবাহন, দোকানপাটসহ হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার খামারিরা। কমেছে দুধের দাম এবং পোলট্রি মুরগির দামও। বাজারে দুধের চাহিদা না থাকায় তারা পানির দামে দুধ বিক্রি করছে। এতে প্রতিদিন লোকসান গুণতে হচ্ছে খামারিদের।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আহসান হাবীব জানান, পৌর এলাকাসহ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে প্রায় ৮০টি গরুর খামার রয়েছে। এর পাশাপাশি ৬০-৭০ হাজার গরু রয়েছে। এর মধ্যে ২৫-৩০ হাজার দেশি ক্রসযুক্ত দুগ্ধ গাভী। প্রায় ৪০ হাজার বিদেশি গাভী রয়েছে। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ২-১ টি করে দুগ্ধ গরু রয়েছে। তারাও দুধ বিক্রি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। উপজেলায় লেয়ার ও ব্রয়লার মুরগির ছোট ও মাঝারি খামার রয়েছে ২৫০টি। পোলট্রি খামারিরাও একই সমসায় পড়েছেন।

ফুলবাড়ীর বিভিন্ন খামার ঘুরে দেখা গেছে, দেশে করোনা ভাইরাস বিস্তারের আগে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হতো ১০০-১১০ টাকা কেজি। যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে এবং সেনালী জাতের মুরগি ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খয়েরবাড়ি এলাকার খামারি শাহিনুর বলেন, মুরগির দাম কমলেও খাবারের দাম বেড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে তাদের খামার বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। খামারিরা তাদের মুরগি কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। কেউ কেউ আবার কম দামে মুরগি বিক্রি না করায় তাদের মুরগির বয়স বেড়ে যাওয়ায় খাদ্য কিনতে হিশশিম খাচ্ছেন। এতে তাদের হাজার হাজার টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে।

উপজেলার সাদিক ডেইরি ফার্মের মালিক শিবলী সাদিক বলেন, তার খামারে ১৪টি গাভী রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ১২০ থেকে ১৩০ কেজি দুধ উৎপাদন হয়। শহরের হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় দুধ তিনি বাজারে বিক্রি করতে পারছেন না। এতে প্রতিদিন ছয় থেকে সাত হাজার টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে। তার ছোট খামারে যদি এ অবস্থা হয়, তাহলে বড় খামারিদের লোকসান আরও বেশি।

 
Electronic Paper