ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

স্কুলছাদে ফুল-ফলের শোভা

মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন,  ডোমার (নীলফামারী)
🕐 ৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০

ডোমার উপজেলার পাঙ্গা বালিকা স্কুলের ছাদে সারি সারি টব। সেখানে বেড়ে উঠা গাছের ডালে ঝাঁকে ঝাঁকে নানা প্রজাতির ফুল, ফল আর সবজি শোভা পাচ্ছে। সেই দৃশ্য দেখতে ভিড় করছেন উৎসাহী মানুষ। স্কুলের ছাদে যে বাগান করা সম্ভব সেটি প্রমাণ করেছেন শিক্ষক সুকুমার রায়।

স্কুলের ছাদে বাগান দেখে অনেক স্কুল ও প্রতিষ্ঠানের মালিকরা ছাদে বাগান করার উৎসাহ পাচ্ছেন। শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিদ্যালয়টি ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮ জন শিক্ষক কর্মচারী দিয়ে ৩২৯ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে বিদ্যালয়টিতে। স্কুলটিতে লেখাপাড়ার মানও অনেক উন্নত। স্কুলের শিক্ষক সুকুমার রায়ের পরিকল্পনায় স্কুলের ছাদকে ফেলে না রেখে বাগান হিসেবে ব্যবহার করা যায় কিনা। তার সেই ইচ্ছা আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাসই হবে না যে, এটি একটি স্কুলের ছাদ। বর্তমানে গোলাপসহ নানা প্রজাতির ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে স্কুলের ছাদটি। আর এর সৌরভ ছড়াচ্ছে এলাকার সর্বত্র। ফুলের পাশাপাশি বর্তমানে বিভিন্ন ফলের মুকুল এসেছে ফলের গাছে।

নিজস্ব উদ্যোগে শিক্ষক সুকুমার রায় স্কুলের ছাদে বাগান করা শুরু করেন। প্রাথমিক অবস্থায় অল্প কিছু গাছ থাকলেও আজ সম্পূর্ণ ছাদটি ভরে গেছে ফুল আর ফলের গাছে গাছে। শৈশব থেকেই তিনি গাছকে ভালবাসতেন। যখন তিনি বাগান শুরু করতে যান, তখন অনেকেই এটাকে পাগলামি বললেও এখন সবাই তার প্রশংসা করছেন। গোলাপ, ডালিয়া, চন্দ্র মল্লিকা, গাঁদা ও রজনীগন্ধাসহ নানা প্রজাতি ফুলের পাশাপাশি রয়েছে আম, বেল, আঙ্গুর, মালটা, লেবু, কমলা ও জাম্বুরা। ওষুধি গাছ রয়েছে- ঘৃতকুমারী, তুলসি, পুদিনাপাতা, পাথরকুচি, আকন্দ ও থানকুচি। ছাদের আরেক দিকে রয়েছে লাউ, স্কোয়াস, পেঁপে, বেগুন, মরিচ, ওলকপি, ধনিয়া পাতা, পালং শাক আর টমেটো। সুকুমার রায় বলেন, চারশত চারা গাছ আছে বর্তমানে ছাদে। ছাদকে ফেলে না রেখে ফুল বাগানের পাশাপাশি, ফল আর সবজি চাষও যে করা যায় সেটি দেখাতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।

 
Electronic Paper