পেশা বদলাচ্ছে বিড়ি শ্রমিকরা
মোস্তাক আহমেদ, কাউনিয়া (রংপুর)
🕐 ৩:৪৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় তিন পুরুষের পেশা বদলাচ্ছে এক সময়ের বিড়ি শিল্প নগরী হারাগাছের মানুষ। তাদের পৈতৃক পেশা বিড়ি তৈরি ছেড়ে দিয়ে এখন অন্য পেশায় যোগ হচ্ছেন তারা।
১৬.৩২ বর্গকিলোমিটার হারাগাছ পৌর এলাকায় প্রায় লাখেরও বেশি মানুষ বাস করে। জনবসতিপূর্ণ এ এলাকার ৯৫ ভাগ মানুষ বিড়ি তৈরির বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত ছিল। দিন বদলের পালায় তারা তাদের পৈতৃক পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় জীবন যাপন করছেন। এলাকার প্রায় ৫০ ভাগ মানুষ এখন জীবন জীবিকার প্রয়োজনে এলাকা ছেড়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা পেশা বেছে নিয়েছেন। শুধু পুরুষরাই নয়, এখানকার নারীরাও পুরুষের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টস ও বাসা-বাড়িতে কাজসহ বিভিন্ন পেশায় জড়িত হচ্ছেন।
জানা গেছে, ৮০ দশকে প্রায় ৭৫ হাজার নারী পুরুষের কর্মসংস্থান ছিল হারাগাছের বিড়ি শিল্প কারখানায়। কালের বিবর্তনে বিড়ির চাহিদা কমে যাওয়ায় এবং মানুষ ধূমপানে সচেতন হওয়ায় এখন সেই বিড়ি শিল্প প্রায় বিলীনের পথে।
এক সময়ের নাম করা বিড়ি ফ্যাক্টরি আজিজ বিড়ি, মায়া বিড়ি, হরিণ বিড়ি, আনছার বিড়ি, সুরুজ বিড়ি, সহিদ বিড়ি, সোনার চাঁদ বিড়ি, মতি বিড়ি ও গফুর বিড়িসহ বেঙ্গল বিড়ি ফ্যাক্টরির এখন দৈন্যদশা। ওই বিড়ি ফ্যাক্টরিগুলোতে ৮০ দশকে সপ্তাহে প্রতিদিন বিড়ির কাজ করেও অনেকেই রাতে কাজ করতো ফ্যাক্টরিতে।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভপতি আমিন বিএসসি বলেন, বিড়ি ব্যবসার সেই সুদিন এখন নেই তাই বিড়ি তৈরির কাজে জড়িত মানুষগুলো জীবন-জীবিকার তাগিদে এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত আছেন। এবং তাদের সচেতনতাই তাদেরকে পেশা বদল করতে প্রেরণা জুগিয়েছে।