ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

চিরিরবন্দরে পক্ষাঘাত পুনর্বাসন কেন্দ্র হবে

দিনাজপুর প্রতিনিধি
🕐 ১:০৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০২০

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিআরপির (সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড) পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র চালু করার জন্য প্রাথমিকভাবে পরিদর্শনে এসেছেন সংগঠনটির প্রধান ভ্যালেরি অ্যান টেইলর।

গতকাল শনিবার বিকাল ৩টায় দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার এবি (আমেনা-বাকী) ফাউন্ডেশনে সিআরপির প্রধান ভ্যালেরি অ্যান টেইলর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র চালু করার বিষয়ে কথা বলেন। ভ্যালেরি অ্যান টেইলর বলেন, আমরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন করার কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে দেশের বেশ কয়েকটি বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় আমাদের শাখা চালু হয়েছে। উত্তরবঙ্গ তথা রংপুর-দিনাজপুরেও আমরা সিআরপির শাখা করতে আগ্রহী। কারণ এই অঞ্চলের গরিব অসহায় পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষ অর্থের অভাবে সঠিক চিকিৎসা করাতে পারে না। আবার এত দূর থেকে ঢাকা কিংবা অন্যান্য কেন্দ্রে যেতে পারে না। ফলে তারা বিনা চিকিৎসায় অনেক সময় মারা যান। আমরা চাই, সাধারণ মানুষের সঙ্গে থেকে সেবা দিতে। এরই ধারাবাহিকতায় দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় সিআরপির সাব কেন্দ্র চালু করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।

চিরিরবন্দরের এবি (আমেনা-বাকী) ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডা. আমজাদ হোসেনের সহযোগিতায় সিআরপির সাব কেন্দ্র চালু করার কথা জানা যায়। এবি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডা. আমজাদ হোসেন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সিআরপির একটি সাব কেন্দ্র চিরিরবন্দরে স্থাপন করতে। যাতে এ এলাকার গরিব অসহায় পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষদের জন্য স্বল্পমূল্যে বা বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করা যায়। এ জন্য আজকে (গতকাল) সিআরপির প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি অ্যান টেইলর চিরিরবন্দর পরির্দশন করতে আসেন। আমরা জমি দিতে চেয়েছি এবং আমি নিজেও একজন চিকিৎসক ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। আশা করি ভ্যালেরি অ্যান টেইলর এ এলাকায় সিআরপির একটি সাব কেন্দ্র চালু করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। পরিদর্শনে ভ্যালেরি অ্যান টেইলরের সঙ্গে ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের ইংরেজি শিক্ষক এনডিউ মাইকেল, ডা. আবু বক্কর সরকার প্রমুখ।

উল্লেখ্য, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিআরপির পরিকল্পক ও প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি অ্যান টেইলর। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে যুক্তরাজ্যের এ নাগরিক বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভ করেন। ২০০৪ সালে তিনি ‘স্বাধীনতা পদক’ পেয়েছেন। এ ছাড়াও ১৯৯৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ অ্যাম্পায়ার’ পদকে ভূষিত করে।

 
Electronic Paper