ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

এক ব্যক্তি পাচ্ছেন দুই পদের বেতন!

আদিতমারী (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
🕐 ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২০

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ঘুষ না পেয়ে সহকারী শিক্ষকের বেতন বন্ধ করা সেই প্রধান শিক্ষকের সৃষ্ট শিক্ষক ওয়াহেদ আলীর বিরুদ্ধে দুই প্রতিষ্ঠানে বেতন-ভাতা ভোগ করার অভিযোগ উঠেছে। তবে একটির টাকা উত্তোলন করলেও অপরটি ব্যাংকে জমা রয়েছে।

সহকারী শিক্ষক ওয়াহেদ আলী কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের দুলালী গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে। তিনি উপজেলার কুমড়ীরহাট এসসি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বিজ্ঞান) এবং কালীগঞ্জ উপজেলার আমার বাড়ি, আমার খামার প্রকল্পের মাঠ সহকারী পদে কর্মরত।

এর আগে কুমড়ীরহাট এসসি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে একটি সংবাদ দৈনিক খোলা কাগজে প্রকাশের পর এলাকায় বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে একে একে বেড়িয়ে আসে প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের চিত্র।

জানা যায়, ২০১৪ সালের জানুয়ারী মাসে আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের মাঠ সহকারী হিসেবে কালীগঞ্জ উপজেলায় যোগদান করে নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছেন ওয়াহেদ আলী। হঠাৎ ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর কুমড়ীরহাট এসসি স্কুলের বেতন সিটে সহকারী শিক্ষক পদে বেতন চলে আসে ওয়াহেদ আলীর। সেখানে তার ইনডেক্স নম্বর ১১৫৫১০০। তবে ওয়াহেদ আলীর দাবি তিনি ওই বিদ্যালয়ে কখনই পাঠদান করেননি।

এমনকি তিনি যোগদানও করেননি। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, একই ব্যক্তি দুই প্রতিষ্ঠানে বেতন-ভাতা গ্রহণের কোন খবর জানা নেই। তবে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল হাসান বলেন, ওয়াহেদ আলী মাঠকর্মী হিসেবে একটি প্রকল্পে কর্মরত রয়েছেন। সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদানের বিষয়টি জানা নেই। একই ব্যক্তি দুই পদে পৃথক বেতন ভাতা গ্রহণের সুযোগ নেই এবং তা বিধি বহির্ভূত।

 
Electronic Paper