ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ

এম এ মোমেন, সৈয়দপুর
🕐 ১২:৩৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২০

নীলফামারীর সৈয়দপুরে কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার অনুমতি না নিয়ে টেন্ডার ছাড়াই ২৫টি ফলজ ও বনজ গাছ কেটেছেন উপজেলার উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা। সরকারি গাছ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে কাটার পরও তিনি তা অস্বীকার করে মিথ্যাচার করছেন এবং নানা অজুহাত দেখিয়ে বিষয়টিকে জায়েজ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

প্রশাসনকে অবগত করা হলেও এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, পাঁচদিন থেকে প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের গাছগুলো কাঁটা হচ্ছে। এ ব্যাপারে অফিসের লোকজনের কাছে জানতে পারেন যে টেন্ডারের মাধ্যমেই গাছ কাঁটা হচ্ছে। তাই তারা বিষয়টি নিয়ে উচ্চবাচ্য করেননি।

সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের ভোটেনারী সার্জন ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, গাছগুলো কাঁটা হয়েছে অফিস ভবনটি রক্ষার জন্য। গাছের কারণে ভবনটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। তাছাড়া আমরা ঠাণ্ডার কারণে অফিসে বসতে পারছিনা। তাই রোদের ব্যবস্থা করার জন্যই গাছ কেঁটে ফেলা হয়েছে।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হক জানান, মূলত একটি মাত্র কদম গাছ কাঁটা হয়েছে। তাও গাছকাঁটার কর্মীদের ভুলের কারণে। অফিসের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশের বাড়ি ওয়ালার অভিযোগের কারণে ওই গাছটির ডাল কাঁটার জন্য মজুর লাগানো হয়েছিল। তারা আমার অনুপস্থিতিতে পুরো গাছটিই কেঁটে ফেলেছে। তাছাড়া আর কোন জীবিত গাছ কাঁটা হয়নি। উত্তরদিকের মাত্র পাঁচটি গাছ কাঁটা হয়েছে।

সেগুলো সব মৃত ছিল। তাই ওই গাছগুলো কাঁটার ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা বন বিভাগের কোন অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করিনি। উপজেলা সামাজিক বনায়ন, নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানান, এ ধরণের কোন আবেদন আমাদের এখানে করা হয়নি। বিষয়টি আমরা জানিনা। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ উপজেলা প্রশাসন দেখবেন।

নীলফামারী জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোনাক্কের আলী জানান, গাছ কাঁটার ব্যাপারে কোন প্রকার অনুমতি নেওয়া হয়নি। তবে আজ উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোবাইল ফোনে একটি গাছের ডাল কাঁটার বিষয়ে অবগত করেছেন মাত্র।

 
Electronic Paper