বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
শেখ সাদী সরকার, মিঠাপুকুর (রংপুর)
🕐 ৮:০৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২০
রংপুরের মিঠাপুকুরে বনবিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গাছ বিক্রিসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। উপকারভোগী সদস্য ও ভুক্তভোগীরা এমন অভিযোগ করেছেন বালুয়া মাসিমপুর হেলেঞ্চা বনবিট কর্মকর্তা আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে।
হেলেঞ্চা বন বিভাগ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০০১-২০০২ অর্থ বছরে হেলেঞ্চা বনবিটের আওতায় ১৩টি মৌজায় নতুনভাবে ইউক্যালিপস্টাস ও আকাশমনির চারা রোপন করে বাগান সৃজন করে। ওই সময় আশপাশের গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাদের বনভূমি রক্ষায় উপকারভোগী সদস্য হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অনেককে আবার পাহারাদার নিয়োগ করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ওই বনবিভাগের মামুদেরপাড়া, আন্দরকোটা, গিলাঝুকি ও লোহাকুচি মৌজায় বাগানে নতুন করে গাছের চারা লাগানোর বরাদ্দ হয়। কিন্তু চারা না লগিয়ে পুরাতন বাগানের ভিতর নতুন বাগান দেখানো হয়েছে। এমনকি যে বাগানে চারা লাগানো দেখা হয়েছে, সেই বাগানে এখনও পুরাতন গাছ দৃশ্যমান রয়েছে। বন বিভাগের কর্তনকৃত গাছের মুড়া (গোড়া) বিক্রির নিয়ম না থাকলেও স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ীর কাছে কর্তনকৃত গাছের এক হাজার ৯০০টি মুড়া বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়াও নতুন করে সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ডিডের কপি দেওয়ার কথা বলে জনপ্রতি ৫-৬ হাজার টাকা করে দুই লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন উপকারভোগী সদস্যরা।
উপকারভোগী সদস্য ভুট্টু মিয়া, আব্দুল কাদের, মেহের আলী ও আনিস অভিযোগ করে বলেন, বিট কর্মকর্তা আব্দুর রহমান নতুন করে উপকারভোগী সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমাদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে দুই লক্ষাধিক নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ডিডের কপি হাতে পাইনি। এছাড়াও বনের পুরাতন গাছ বিক্রির পর মুড়া বিক্রির নিয়ম না থাকলেও তিনি মুড়া প্রতি ২১ টাকা করে এক হাজার ৯০০টি মুড়া বিক্রি করেছেন।
তব হেলেঞ্চা বনবিট কর্মকর্তা আব্দুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যে গাছগুলো কাটা হচ্ছে সেগুলো ব্যক্তিগতভাবে লাগানো। কর্তনকৃত গাছের মুড়া বিক্রি ও সদস্যদের কাছে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথা বলার সময় নেই বলে জানান।