ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বাঁশের সুদিন ফেরাতে গবেষণা কেন্দ্র

আব্দুল্লাহ আল-মামুন, ডোমার (নীলফামারী)
🕐 ১২:৩৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ০৬, ২০২০

বাঁশের তৈরি পণ্যের এখন আর তেমন কদর নেই বললেই চলে। ঐতিহ্য হারাতে বসেছে শিল্পটি। এক সময় গ্রামীণ জনপদের মানুষ গৃহস্থালি, কৃষি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে বাঁশের তৈরি পণ্য ব্যবহার করা হলেও এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে এ শিল্পটি। তবে এ শিল্পটি রক্ষায় পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট। নীলফামারীর ডোমারে নির্মাণ করা হয়েছে আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা কেন্দ্র। প্রায় ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে দুই একর জমির উপর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে ভবনটির।

বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা কেন্দ্রটি। ইতোমধ্যেই ভবনের কাজ শেষ হয়েছে। এখন পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ হয়েছে। বাঁশের তৈরি আসবাব দিয়ে সাজানো হয়েছে ভবনের কক্ষগুলো। বাঁশের তৈরি সোফাসেট, চেয়ার, টেবিলগুলো দেখতে অবিকল কঠের আসবাবপত্রের মতোই। বাঁশ চাষ, বাঁশ ব্যবস্থাপন এবং সংরক্ষণ করে মূল্যবান ও আর্কষণীয় পণ্য তৈরিকরণ, উন্নত জাতের বাঁশ চাষে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে চাষিদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন করাই হবে এর লক্ষ্য।

বর্তমান দেশে ৩৩ জাতের বাঁশ রয়েছে। এসব বাঁশ নিয়ে গবেষণা করে চাষিদের উৎসাহিত করা হবে। বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ডোমার শহরের বন বিভাগের কাছেই গবেষণা কেন্দ্রটি হওয়ায় অন্ধকারচ্ছন্ন এলাকাটি এখন আলোয় ভরে উঠেছে। বিকেল থেকেই মানুষজন ভিড় করেন নতুন ভবনটি দেখার জন্য।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন ডোমার উপজেলা আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম। ২০১৬ সালে এর কাজ শুরু হয়।

রিসোর্ট অফিসার আসাদুজ্জামান জানান, ভবনের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র দিয়ে সাজানো হয়েছে ভবনটি। আমরা চাষিদের বাঁশ চাষে উৎসাহিত, বাঁশের আসবাব তৈরিসহ যাবতীয় প্রশিক্ষণ দিব। আবার তাদের কাছ থেকেই আমরা এসব পণ্য ক্রয় করবঅ ফলে বাঁশ চাষিরা অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল হচ্ছে, দূর হচ্ছে বেকারত্ব।

আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে গবেষণা কেন্দ্রটির ল্যাবরোটরি উদ্বোধন করা হবে বলে প্রকল্প পরিচালক ড. মো. রফিকুল হায়দার জানিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, প্লাস্টিক সামগ্রীর কদর বেড়ে যাওয়া কুটির শিল্পের চাহিদা এখন আর নেই। তাছাড়াও দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে শিল্পের কাঁচামাল বাঁশ। বাজারগুলো দখল করেছে প্লাস্টিক ও অ্যালুম্যানিয়াম। দেখা মিলে না আর বাঁশ ঝাড়ের। এক সময় দেশের বিস্তীর্ণ জনপদে বাঁশ-বেত দিয়ে তৈরি হতো গৃহস্থালী ও সৌখিন পণ্য সামগ্রী। এসব বিক্রি করেই চলতো তাদের সংসার।

 
Electronic Paper