রংপুরে তীব্র শীত
সাইফুল ইসলাম, রংপুর
🕐 ৯:৪৮ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
উত্তরাঞ্চলে বাড়ছে শীত। দিনের বেলা ঠাণ্ডা কিছুটা কম থাকলেও রাত ও সকাল বেলা শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। সেই সাথে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
গতকাল রোববার সকাল থেকে সারাদিনই সূর্যের দেখা মেলেনি। কোথাও সূর্যের দেখা মিললেও অধিকাংশ জায়গা ছিল মেঘাচ্ছন্ন। এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দুপুরের পর থেকে রংপুর শহরেও তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী, রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যা গত কয়েক দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন।
উত্তরের চরাঞ্চলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীতের কারণে আগুন জ্বালিয়ে ঠাণ্ডা তাড়ানোর চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা। রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলের চরাঞ্চলগুলোতে শীতের তীব্রতা জেঁকে বসেছে। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে জেগে ওঠা রলাকাটর চরের মুনির জানান, চরাঞ্চলের শীতের তীব্রতা বাড়ছে। বিশেষ করে রাতে ও সকালে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাপড়ের দোকানগুলোতে মানুষের ভিড় বাড়ছে।
প্রতিদিন শত শত মানুষ শীতের পোশাক কিনছেন। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শিশু ওয়ার্ডের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. বিকাশ মজুমদার খোলা কাগজকে জানান শিশুদের ঠাণ্ডা নিবারণে বড়দের তুলনায় শিশুদের এক পরদ গরম কাপড় বেশি পড়াতে হবে এবং ঘেমে গেল কিনা তাও খেয়াল রাখতে হবে।
রংপুর আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়, চলমান শীত মৌসুমে রংপুরে এক সংখ্যায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এ অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে।