ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শীতের পোশাক ঘিরে ভিড়

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
🕐 ১২:৫২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে শীতের শুরুতে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো শীতবস্ত্র কিনার জন্য ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন। মধ্যরাতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছরের আগাম শীত পড়তে শুরু করেছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় শীত থেকে রক্ষা পেতে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাক কিনতে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে।

ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত মার্কেটগুলোতে গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে হরেক রকম বাহারি পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। শীতবস্ত্রের চাহিদা বাড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের শীতের পোশাক তুলেছেন তারা। বীরগঞ্জ পৌরশহরের বিজয় চত্বর থেকে শুরু করে তাজমহল সিনেমা হলের সামনে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ফুটপাতের দোকানগুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি উচ্চবিত্তরাও মহাসড়কের পাশে এসব দোকানে ভিড় জমাচ্ছে। বিশেষ করে মৌসুমী ভিত্তিক দোকানগুলোতে শীতের কাপড় বেচাকেনা চলছে পুরোদমে।

মৌসুমী ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকদের জানান, শীত কম থাকায় ব্যবসা কম হচ্ছে। সামনের দিনে অনেক ভালো ব্যবসা হবে এমটায় আশা ফুটপাতে বসা দোকানিদের।

পৌরশহরের থানার সামনে, বলাকা মোড়, তাজমহল মোড়, দত্ত মার্কেটের সামনে ও ফুটপাতের বিভিন্ন জায়গায় নিম্ন আয়ের মানুষদের শীতে কাপড় বিক্রির পসারা সাজিয়ে বসেছেন। ফুটপাতের দোকানে একটি সোয়েটারের দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, বাচ্চাদের কাপড় ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। মাফলার ৫০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সাধ্যের মধ্যে থেকেই পছন্দের শীতের পোশাকটি বেছে নিতে চেষ্টা করছেন নিম্নবিত্ত দরিদ্র মানুষগুলো। প্রতিবছর শীত মৌসুম আসলেই তাদের বিক্রেয়ের অবস্থা বেশি ভালোই হয়। গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা থাকায় শীতার্ত মানুষ প্রচন্ড শীত থেকে রক্ষা পেতে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ভিড় জমাচ্ছে বড় শপিং মহল থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানগুলোতে।

বীরগঞ্জ পৌরশহরের রেজিয়া মার্কেটের ঢাকা গার্মেন্টসের মালিক মো. তানবির হোসেন তোতা জানান, আমি দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসা করে আসছি। শীত বেশি পড়লে ব্যবসা অনেক ভালো হয় এবং শীত কম হলে বেচাকেনা কম হয়। বড়দের জ্যাকেট, সোয়েটার, কোট, বাচ্চাদের কাপড় পাওয়া যায়, সেগুলোর দাম তুলনামূলক একটু কম হয়, কোনো পোশাকের মূল্য নির্দিষ্ট করা থাকে না। তবে দর কষাকষি ছাড়া পছন্দের পোশাক ক্রেতাদের কেনা সম্ভব হয় না। সব পোশাকের দাম একটু বেশি করে যাওয়া হয়। যাতে বিক্রেতারা তাদের লাভ পুষিয়ে নিতে পারেন।

অন্যদিকে ফুটপাতে শীতবস্ত্র বিক্রেতা জানান, সব বসয়ী মানুষের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। গার্মেন্টস আইটেমের চেয়ে পুরাতন শীতবস্ত্র বিক্রি করে বেশি লাভ হয়। ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে আমাদের লাভ-লোকসান। কেননা আমরা এক একটি কাপড়ের গাইট কিনি ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায়, সেই বিদেশী গাইটগুলো থেকে কখনো আবার ভালো কাপড় বের হয়, কখনো খারাপ।

বিজয় চত্বরে কাপড় বিক্রেতা মো. হান্নান বলেন, শীতের জ্যাকেটের গাইট কিনেন ১১ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকায়।

ফুটপাতে শীতের পোশাক কিনতে আসা মো. আনোয়ার হোসেন, আবুল কামাল ও মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, শীত আসলে কেনাকাটা বেড়ে যায়। প্রতিনিয়ত শীতের পোশাক ক্রয় করি। তারপরেও অনেক কিনতে ইচ্ছে করে। বিশেষ করে শিশুদের দিকটা আলাদা তাদের জন্য দেখে শুনে ভালো, ভালো পোশাক পাওয়া যায়। তাই দরদাম করেই পোশাক কিনছি।

 

 
Electronic Paper