বাতাসে দুলছে কাশফুল
রংপুর অফিস
🕐 ৫:৪৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০১৯
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর চরে দুলছে কাশফুল। অপরূপ সৌন্দর্যের কাঁশফুল সকালে সোনালী রোদে হালকা বাতাসে তাল মেলাচ্ছে, তেমনি দুপুরে প্রখর রোদের সাথে দুলে বাতাস ছড়িয়ে দিচ্ছে চরবাসীর মাঝে। আর বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মনমুগ্ধকর মৃদু রোদের সাথে আনন্দ দিচ্ছে আগত বিনোদন প্রেমীদের।
তিস্তার চর বছরে তিন থেকে চারবার ভিন্ন রূপ ধারণ করে বুঝিয়ে দেয় তার সৌন্দর্য কতটা এবং তার বুক থেকে মানুষ কতটা আয় করে। বর্ষার সময় চরে জুড়ে শুধু পানি আর পানি। পানির ঢেউয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ যেমন এলোমেলো ছুটাছুটি করে, তেমনি চরের মানুষজন মাছ শিকার করে অনেকে বিক্রি করে। আবার কেউ নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে আত্মীয়দের বাড়িতে দেয়।
বর্ষা কেটে গেলে পানি শুকিয়ে চর জেগে উঠার সাথে চরের মানুষজন তাদের প্রয়োজন মতো ধান, ভুট্টা, কালাই, বাদাম, পিয়াজ, রসুন, তামাক ও মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে সংসারে উন্নতি করে। আর কোন শ্রম ছাড়াই এই চরেই বিধাতা দেওয়া কাঁশফুল যখন সৌন্দর্য নিয়ে আসে তখন কার না ভাল লাগে।
কাঁশফুলের গা ঘেঁষে রয়েছে তিস্তার নালা। নালায় হালকা চকচকে পানির স্রোতের সাথেও তাল দিচ্ছে কাঁশফুল। জেগে উঠা কাঁশফুল কাটার সময় হলে তা কেটে বিক্রি করে আয় করেন চরবাসী। এছাড়া এ সময় চরের চিকচিক বালুর সাথে সাদা কাঁশফুল বাতাসে দুলে।