ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
🕐 ৪:৫১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৮, ২০১৯

লালমনিরহাট নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোসলেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে বিপুল পরিমাণ টাকা উত্তোলন, ভুয়া ও জাল ভাউচার তৈরি করে অর্থ আত্মসাত, শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে আদায়কৃত অর্থ ব্যাংকে জমা না দিয়ে হস্তমজুদ রাখা, অনুমোদন ব্যতিত মাদ্রাসার জমির গাছ বিক্রয়, টাকার বিনিময়ে নকল সরবরাহসহ ১৮টি অভিযোগ নিয়ে বহাল তবিয়তে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছেন মোসলেম উদ্দিন।

২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত তিন বছরের হিসাব নিরীক্ষা শেষে অভ্যন্তরীণ হিসাব ও নিরীক্ষা কমিটির দাখিলকৃত প্রতিবেদনে অধ্যক্ষের এসব দুর্নীতির চিত্র উঠে আসে।

মাদ্রাসার দাতা সদস্য মোহাম্মদ তারেকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের অভ্যন্তরীণ হিসাব ও নিরীক্ষা কমিটি প্রতিবেদনে ৪৪টি অডিট আপত্তি দাখিল করেন। অডিট আপত্তি টাকার পরিমাণ ১০ লক্ষ টাকা। এছাড়া ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে অধ্যক্ষ মাদ্রাসার ব্যাংক হিসাব হতে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর বিপরীতে তিনি ব্যয়ের কোন ভাউচার দেখাতে পারেননি।

জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবিএম মাহফুজুর রহমান অবসরে গেলে ২০১৫ সালের ৩১ মার্চ অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান মোসলেম উদ্দিন। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই আর্থিক বিষয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠে মোসলেম উদ্দিন। নিয়ম-নীতিকে তোয়াক্কা না করে চরম স্বেচ্ছাচারিতার পরিচয় দেন তিনি।

এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা কমিটি চলতি বছরের এপ্রিল মাসে একটি অভ্যন্তরীণ হিসাব ও নিরীক্ষা কমিটি গঠন করেন। এছাড়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতার ছেলে শফিকুল ইসলাম অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতির বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসক ও দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 
Electronic Paper