ভালো নেই আলাইপাড়ের মানুষ
নুর হোসেন রেইন, সাঘাটা (গাইবান্ধা)
🕐 ৬:১১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা সদর থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিমে গ্রামটির নাম দলদলিয়া। গ্রামটির শেষ পশ্চিম সীমানা ঘেঁষে বয়ে গেছে আলাই বাঙালি নদী। এ নদীর তীর দিয়ে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে গ্রামটিতে ছিন্নমূল প্রায় ১৫০ পরিবারের বসবাস। রোগ, শোক, দুঃখ, দরিদ্রতা আর কুসংস্কারে অন্ধকারচ্ছনের মতোই তাদের জীবন।
১৫০ পরিবারের মধ্যে ৮০ পরিবার একবারেই অচল প্রায় জীবন কাটাচ্ছেন। অধিকাংশ পরিবারের স্ত্রী-সন্তানদের ছোট কুঁড়ে ঘড়ে রেখে স্বামী জীবিকার সন্ধানে চলে গেছেন রাজধানী ঢাকা কিংবা চট্রগ্রামে। দিনে তিন বেলার মধ্যে কেউ এক বেলা আর কেউ দুবেলা সামান্য খেয়ে জীবন ধারণ করে বেঁচে আছেন। মোটা চালের দাম কম হলেও সেটা কেনারও সামর্থ্য নেই তাদের।
যারা বাড়ি আছেন তাদের হাতেও কোনো কাজ নেই। দিনমজুর কিংবা মাছ ধরে জীবন নির্বাহ করতো যারা, তারা এখন বেকার। কাজ কর্ম না থাকায় দুর্ভিসহ জীবন কাটছে তাদের।
কথা হয় সত্যরামের সঙ্গে। তিনি জানান, তার দুই মেয়ে নকশাকে ১৩ হাজার, টুলিকে ১৭ হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে বিয়ে দিয়েছেন। অনেকেই বিবাহ যোগ্য মেয়ে ঘরে থাকলেও টাকার অভাবে বিয়ে দিতে পারছেন না। এখানকার লোকজন সরকারি কাজের বিনিময় খাদ্য, টেস্ট রিলিফসহ বরাদ্দ কিংবা রিলিফের কথা জানেন না।
বিগত সরকারের আমলে আলাই নদীর তীরবর্তী দলদলিয়া গ্রামেও ছিন্নমূলদের আশ্রয়ণ প্রকল্প করা হয়। পরিবারগুলো তখন থেকে সরকারিভাবে বানানো ঘড়গুলোতে বসবাস করতে থাকে। দিন দিন চরম দারিদ্র্যের মধ্যে এসব পরিবারের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।