দুর্ভোগে তিন উপজেলার মানুষ
রামসাগর এক্সপ্রেস বন্ধ
সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
🕐 ৬:৩০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
গাইবান্ধার বোনারপাড়া রেলজংশন স্টেশন থেকে দিনাজপুরগামী রামসাগর ট্রেনটি ৭ বছর ধরে বন্ধ থাকায় যোগাযোগ কষ্টে রয়েছেন তিন উপজেলার মানুষ। স্বল্প সময়ে এলাকাবাসীর রংপুর ও দিনাজপুর যাতায়াতের একমাত্র এ বাহনটি চালুর জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করা হলেও কোন কর্ণপাত করছে না রেলকর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১০ সালে রামসাগর ট্রেনের যাত্রা শুরু করে রেল কর্তৃপক্ষ। গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা, ফুলছড়ি ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ছাড়াও জামালপুর জেলার কয়েকটি উপজেলার মানুষও এ ট্রেনের উপর নির্ভর করে ব্যবসা বাণিজ্য করত। রংপুর বিভাগীয় শহরে যাওয়া আসার জন্য এটি খুবই জরুরি ছিল। বোনারপাড়া রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন সকাল ৬টায় ট্রেনটি দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করত।
গাইবান্ধা, কামারপাড়া, নলডাঙ্গা, বামনডাঙ্গা, চৌধুরানী, পীরগাছা, কাউনিয়া রেল স্টেশনের পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ নিরাপদে এবং স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারত। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড হওয়ায় প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ তাদের দাপ্তরিক কাজে দিনাজপুর গিয়ে কাজ সেড়ে আবার বাড়ি ফিরে আসার সুযোগ পেত। এতে আর্থিক ব্যয় কম হত। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী নিয়ে স্বাচ্ছন্দে যাতায়ত করতে পারত এসব এলাকার মানুষ। কিন্তু ২০১১ সালে রহস্যজনক ভাবে রেলকর্তৃপক্ষ ট্রেনটি বন্ধ করে দেয়। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ নেমে আসে।
বোনারপাড়ার রেলযাত্রী মমিন মিয়া জানান, এ ট্রেন বন্ধ থাকায় খুব কষ্ট পাচ্ছি আমরা।
ক্ষোভ জানিয়ে রংপুরগামী যাত্রী গৌতম চন্দ্র মোদক জানান, এই জন দাবিটি এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে রেলকর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আসলেও কোন কাজ হচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানান, রামসাগর ট্রেনটি চালুর হওয়ায় পর আমরা সহজেই । রবং অল্প খরচে যাতায়াত করতে পারতাম। এমনকি রংপুর, গাইবান্ধাও সহজেই আসা যাওয়া করতে পারতাম। এতে আমাদের অর্থ ও সময় দুটোই সাশ্রয়ী হতো। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনটি বন্ধ থাকায় বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তাই এলাকাবাসী দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে দ্রুত ট্রেনটি চালুর দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে কথা হয় বোনারপাড়া রেল ষ্টেশন মাষ্টার হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে। তিনি বলেন, আসলে ট্রেনটি বন্ধের বিষয়টি পুরোপুরি রেল কর্তৃপক্ষের। স্থানীয় ভাবে এর সমাধান সম্ভব নয়।
এদিকে, লালমনিরহাট পশ্চিমাঞ্চল রেলকর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।