ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সান্তাহার রেলওয়ে জংশন

আয় বাড়লেও বাড়েনি যাত্রীসেবা

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
🕐 ৪:২৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনটি উত্তরবঙ্গের প্রথম শ্রেণির বৃহত্তম জংশন স্টেশন। ত্রিমূখী রেলের সংয়োগস্থল এ জংশন স্টেশনে গত ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত এক বছরে ১২ কোটি ৯৭ লাখ ৯৩ হাজার ৭৫৭টাকা আয় হলেও স্টেশনটির উন্নয়ন বা যাত্রীসেবার মান বাড়েনি। লাগেনি কোন আধুনিকতার ছোঁয়াও।

সমস্যায় জর্জরিত রেলওয়ে জংশন স্টেশনের আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এর উন্নয়ন ও যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন যাত্রী সাধারণ। তবে লোকবল সংকট না থাকলে যাত্রী সেবার মান বাড়বে বলে দাবি কর্তপক্ষের।

জানা যায়, আদমদীঘির সান্তাহার রেলওয়ে জংশনটি বৃটিশ আমলে নির্মিত প্রায় ২০০ বছরের পুরনো অবকাঠামো জীর্ণ অবস্থায় বিরাজ করছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলেওয়ের এই বৃহত্তম জংশন স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন নওগাঁ, বগুড়া, রাজশাহী, জয়পুরহাট, আক্কেলপুরসহ বিভিন্ন জেলার শতশত মানুষ যাতায়াত করে থাকে। সান্তাহার জংশন স্টেশনটির বিভিন্ন সমস্যার কারনে যাত্রী সাধারণকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বিশেষ করে যাত্রীদের পানীয় জলের তীব্র সংকট রয়েছে। ১ ও ২ নাম্বর প্লাটফরমে একটি পানির টিউবওয়েল থাকলেও সেটিও বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ৩, ৪ ও ৫ নাম্বর প্লাট ফরম মিলে একটি পানির ট্যাপ রয়েছে তাতেও অনেক সময় পানি পাওয়া যায় না।

অপরদিকে, প্লাটফরম গুলোতে পুরো টিনসেড না থাকায় যাত্রী সাধারণকে রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে ট্রেনে উঠানামা কারতে হয়। টিনসেড গুলোর বিভিন্ন স্থানে মরিচা ধরে নষ্ট হওয়ার কারণে একটু বৃষ্টি হলেই পানি পড়তে থাকে। ফলে যাত্রীদের স্টেশনে অবস্থান করা দুরুহ হয়ে পড়ে। এই জংশন স্টেশনটির উপর দিয়ে প্রতিদিন আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ব্রডগেজ, মিটারগেজ এবং ব্রডগেজ লোকাল ও সাধারণ মেইলসহ সর্বমোট ৩৯টি ট্রেন চলাচল করছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানায়, বেসরকারি ব্যাবস্থাপনায় লোকাল ও মেইল ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার পরেও শুধু আন্তঃনগর ট্রেন থেকে বিগত ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত সান্তাহার রেল স্টেশন থেকে আয় হয়েছে ১২ কোটি ৯৭ লাখ ৯৩ হাজার ৭৫৭ টাকা।

 
Electronic Paper