ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নড়বড়ে সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

নুর হোসেন রেইন, সাঘাটা (গাইবান্ধা)
🕐 ৬:৫৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯

গাইবান্ধা-সাঘাটা সড়কে বাদিয়াখালী নামকস্থানে জোড়া তালির ব্রিজে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন ও পথচারী। সাঘাটা উপজেলা থেকে গাইবান্ধা জেলা শহরে প্রবেশের একমাত্র সড়কটির বাদিয়াখালি আলাই নদীর উপর ব্রিজটি বিগত সময় বন্যায় পানির তোড়ে ক্ষতি হওয়ায় প্রশাসন আপদ কালিন টানা ব্রিজ ও বাকি অংশে লোহার পাটতন জোড়া তালি দিয়ে কোন মতে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করেছেন। তবে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক হুমকি হয়ে পড়েছে।

এদিকে, প্রায় দুই যুগের পুরনো ওই ব্রিজ দিয়ে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলায় চলাচল করছে। প্রস্থত না হওয়ায় এ পর্যন্ত অন্তত অর্ধশতাধিক ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে ওই ব্রিজে। গত বন্যায় আরও ক্ষতির মুখে পড়েছে ব্রিজটি। নিচের মাটি এবং মাটি আটনো দেয়াল ভেঙে যাচ্ছে।

জানা যায়, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার হাজার হাজার মানুষের গাইবান্ধা জেলা শহরে যাতায়াতের জন্য একটি মাত্র ব্রিজ গত ১০ বছর পূর্বে একাংশ ধসে ও ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। কর্তৃপক্ষ ধসে যাওয়া প্রায় ২০ ফুট স্থানে পাটাতন দ্বারা যানবাহন যাওয়া আসা ব্যবস্থা করে। তখন থেকে এ পর্যন্ত মেরামত কিংবা ব্রিজটি উন্নয়নে কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি নড়বড়ে পাটাতনের ওপর দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে যাএী বাহী যানবাহনসহ ভারি যানবাহন গুলো চলাচল করছে। ব্রিজটি অন্যান্য অংশে ও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

যে কোন মূহুর্তে ব্রিজ ভেঙে যানবাহন চলাচল বিছিন্ন হতে পারে। এ ছাড়া সাঘাটা-গাইবান্ধা সড়কে গত বন্যায় বিভিন্ন স্থানে মাটি ধসে, পিচ উঠে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, এলাকাবাসী সরকারের প্রতি জরুরি ভিত্তিতে একটি প্রস্থত আর সি সি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। সাঘাটার পদুম শহর ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান স্বপন জানান, ওই স্থানে একটি পাকা ব্রিজ দরকার। পাকা ব্রিজ হলে আর ভোগান্তি হবে না। এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি পূরণ হবে। বোনার পাড়া বাজারের হটেল ব্যবসায়ী অবিনাস জানান, ব্রিজটি নির্মাণ করা হলে আর দূর্ঘটনা ঘটবে না।

 
Electronic Paper