ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

৪৮ বছরেও মেলেনি সেতু

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
🕐 ৮:১০ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০১৯

নদীটির নাম নাকি ‘ছোট শাখা যমুনা নদী’ এ ছোট নদীত হাত চল্লিশেক একটা ব্রিজ তাই কেউ তৈরী করে না। হামার জীবনে মনে হয় আর এ ব্রিজ দেখে যেতে পারমনা। মেলা এমপি গেল, চেয়ারম্যান গেল কিন্তু হামার ব্রিজটা আলো না। সম্প্রতি বিরামপুর চৌঘুরিয়া গ্রামের ঘাটে নৌকায় পানের গাট্টি নিয়ে পারাপারের সময় ওই গ্রামে ষাট বছরের বৃদ্ধ তকিমুদ্দিন এসব কথা বলেন।

দিনাজপুরের বিরামপুর ও পাশ্ববর্তী হাকিমপুর উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে ছোট শাখা যমুনা নদী। নদীটি বিরামপুরের চৌঘুরিয়া দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার হলেও বিরামপুর ও হাকিমপুর এ দুই উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া চৌঘুরিয়া ঘাটে শাখা যমুনা নদীতে একটি সেতু নির্মাণ হয়নি। ওই অঞ্চলের ১০টি গ্রামের ১৫ হাজার লোক বর্ষা মৌসুমে নৌকায় করে পারাপার হতে হয়। সেতুর অভাবে বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকার লোকেরা দৈনন্দিন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

ঘাটের ইজারাদার ফিরোজ করিম জানান, এবার তিনি কাটলা ইউনিয়ন থেকে ৪০ হাজার টাকায় ঘাটটি ইজারা নিয়েছেন। নদী পারা পারের জন্য জন প্রতি ৫ টাকা, সাইকেল ১০ টাকা এবং মটরসাইকেল ২০ টাকা নেওয়া হয়। এছাড়া কাঁচামালের পরিমাণ অনুযায়ী টাকা নেওয়া হয়। তবে স্কুলের শিক্ষাথূীদের কাছ থেকে তারা যেমন দেয় তেমনি নেওয়া হয়।

স্থানীয় চৌঘুরিয়া গ্রামের পান ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম জানান, বিরামপুর উপজেলার চৌঘুরিয়া, দামোদরপুর, রামচন্দ্রপুর, রণগাঁও, দাউদপুর গ্রামের পানচাষীরা পান বাজারজাত করতে পানের বড় চালান নিয়ে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় পানের বাজার হাকিমপুর উপজেলার হিলিহাটে যায়। তাদের হাটে যেতে হলে ৫০০মিটার রাস্তার বদলে ৭ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যেতে হয়। স্থানীয় ২নং কাটলা ইউনিয়নের

চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জানান, ওই এলাকায় একটি ব্রিজ খুবই প্রয়োজন। স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও এলাকার ১০ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের কথা চিন্তা করে ব্রিজটি নির্মাণের জোর দাবী জানাচ্ছি।

দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক জানান, চৌঘুরিয়া ঘাটে ব্রিজটি নির্মাণের বিষয়টি মন্ত্রনালয়ে প্রস্তাবনা দেওয়া আছে। যাচাই-বাচাই করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

 
Electronic Paper