ঠিকাদারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে পাথর উত্তোলন বন্ধ
সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, দিনাজপুর
🕐 ৬:৫৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০১৯
দেশের উত্তর অঞ্চলের একমাত্র দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কঠিন শিলা ভূ-গর্ভ থেকে প্রায় ৪ মাস ধরে পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন করে পাথর উত্তোলনের উদ্যোগ গ্রহন না করায় উত্তোলনকৃত পাথর বিক্রি শেষ হলে মধ্যপাড়া পাথর খনিটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
এ ব্যাপারে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করছেন বেসরকারি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসি কে অপর দিকে জিটিসি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দুষছে মধ্যাপাড়া খনি কর্তৃপক্ষকে। চার মাস ধরে একে অপর দোষ ধরে চিঠি চালাচালি করেও কোন কাজের কাজ হচ্ছে না।
দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি প্রকল্পে গত ৩ এপ্রিল থেকে পাথর খনি থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় প্রায় ১ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। ফলে তার পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আর পাথর খনির ডামপিং (ইয়ার্ডে) এ মজুদ পাথর বিক্রয় প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ার পথে।
ইয়ার্ডে মজুদ পাথর শেষ হলে বন্ধের উপক্রম হবে কঠিন শিলা পাথর খনি। অপর দিকে পাথর বিক্রি না থাকায় খনিটিতে লোকসান গুনতে গুনতে হচ্ছে দিনের পর দিন। ২০০৭ সালে উত্তর অঞ্চলের একমাত্র মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানী লিঃ (এমজিএমসিএল) বানিজ্যিক ভাবে উৎপাদন শুরু হয় ।
মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পের মহা ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মো. আবু তালেব ফারাজী জানিয়েছেন উৎপাদন শুরু করতে তাদের দপ্তর থেকে বার বার পত্র দেওয়া হলেও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান জিটিসি কোন জবাব দিচ্ছে না।
অপরদিকে উৎপাদন বন্ধ থাকার ব্যাপারে জিটিসির মহা ব্যবস্থাপক জাবেদ সিদ্দিকী জানান খনি কর্তৃপক্ষ বরাবরে পাথর উত্তোলনের বিষয়ে সার্বিক সহযোগীতা করে আসছে। কিন্তু পাথর উত্তোলন বৃদ্ধির অনেক প্রস্তাব আগে দেওয়া হলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি।
উত্তোলন যন্ত্রের ক্রিস্ট মটর গিয়ার বক্সের পিনিয়াম নষ্টের কথা জানালেও তা আনার কথা বললেও খনি কর্তৃপক্ষ সে কথা গুরুত্ব দেননি। যার কারনে আজ প্রায় ৪ মাস খনির পাথর উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে খনি এলাকার লোড আনলোড শ্রমিক, ট্রাক শ্রমিক এবং ভূ-গর্ভস্থ কর্মরত প্রায় ১ হাজার শ্রমিক। সব মিলে সকলে বেকার হয়ে পড়েছে।
মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি প্রকল্পে বর্তমান পাথর মজুদ রয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ ৪৫ হাজার মেক্ট্রিকটন আর প্রতি মাসে খনির ইয়ার্ড থেকে পাথর বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ হাজার মেক্ট্রিকটন। বর্তমান দুপক্ষের রশি টানাটানিতে মধ্যপাড়া খনিটির উৎপাদন বন্ধ।