রাস্তা সংস্কার না হলে আমরণ অনশনে নামবে ডোমারবাসী
নুরে রোকসানা সুমি ও আব্দুলাহ আল মামুন
🕐 ৭:৩৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০১৯
নীলফামারীর ডোমারে প্রধান সড়কে দশ চাকার ট্রাক চলাচল বন্ধ, ভঙ্গুর রাস্তা সংস্কার ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। আগামী একমাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব সমস্যা সমাধান না করলে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন তারা।
শুক্রবার সকালে ডোমার রেলঘুমন্টি মোড়ে ‘প্রতিবাদী ডোমারবাসী’র ব্যানারে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে শতশত মানুষ মানববন্ধনে অংশ নিয়ে কর্মসূচির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। মানববন্ধন শেষে আধা ঘণ্টাবাপি অবরোধ কর্মসূচিও পালন করা হয়।
উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আসাদুজ্জামান চয়নের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সুজন’র সাধারণ সম্পাদক গোলাম কুদ্দুস আইয়ুব, সমাজসেবক ডা. ওমর ফারুক, আব্দুল জব্বার, নুরুজ্জামান বাবলা, দিপ্ত টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি ইয়াছিন মোহাম্মদ সিথুন, যুগান্তর ডোমার উপজেলা প্রতিনিধি আবু ফাত্তাহ কামাল পাখি, আপেল, মাসুদ, রানা, শিক্ষক আনিছুর রহমান, সমাজ সেবক আইয়ুব আলী প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান চয়ন বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রশাসনকে কাগজ দেখাতে হবে এ রুট দিয়ে দশ চাকার ট্রাক চলাচলের পারমিট রয়েছে। কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হলে এ রুট দিয়ে দশচাকার ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দিতে হবে। তাছাড়া আগামী এক মাসের মধ্যে ডোমারের প্রধান সড়কের কাজ শুরু না হলে ডোমার মুক্তিযোদ্ধার সামনে উন্মক্ত মঞ্চ তৈরি করে সেখানে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
বক্তারা ডোমার বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর অপসারণ দাবি করে বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে না পারলে যেখানেই নির্বাহী প্রকৌশলীকে দেখা যাবে তাকে সেখানেই অবরুদ্ধ করে রাখা হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রাকৌশলী একেএম হামিদুর রহমান জানান, প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ওই সড়কটির এক কিলোমিটার সংস্কার কাজের টেন্ডার হয়ে গেছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ঢাকার হক এন্টারপ্রাইজ আগামী সাতদিনের মধ্যে কাজ শুরু করবে।
প্রসঙ্গত, খানা-খন্দে ভরপুর ডোমারের প্রধান সড়কটি ‘মরণফাঁদে’ পরিণত হয়েছে। সড়কের বেশিরভাগ জায়গায় কোমর সমান গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিদিনেই ঘটছে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা। মেরামতের দাবিতে সংশ্লিষ্ট দফতরে একাধিকবার ধরণা দিয়েও কাজ না হওয়া ক্ষোভে ফুঁসে উঠছেন স্থানীয়রা।