ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিদ্যুতের তার ঝুললেও মেলেনি সংযোগ

শাহাদৎ হোসেন মিশুক, গাইবান্ধা
🕐 ৯:০০ অপরাহ্ণ, মে ২৮, ২০১৯

পল্লী বিদ্যুৎ সযোগের জন্য আবেদনের প্রায় চার বছর পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারার সাঁওতাল পল্লীর মাদারপুর ও জয়পুর গ্রামের আটটি বাড়ি, একটি বিদ্যালয় ও দুটি গির্জায় সংযোগ দেওয়া হয়নি। ওয়্যারিং করে রাখলেও একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন না করায় ও মিটার না লাগানোয় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না এসব স্থাপনায়।

জানা যায়, ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি গোবিন্দগঞ্জের তৎকালীন সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের সুপারিশপত্রসহ ১০০টি বাড়ি, একটি বিদ্যালয় ও দুটি গির্জায় বিদ্যুৎ সংযোগ চেয়ে গাইবান্ধার সদর উপজেলার তুলসীঘাটে গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) বরাবর আবেদন করা হয়। কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ওই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর পুনরায় আবেদন করা হয়। এরপর ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপনের জন্য নকশা করা হয়। পরে ২০১৭ সালের প্রথমের দিকে টাকা জমা দেওয়া হলে সর্বশেষ এই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে। এরপরও বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বঞ্চিত হয় আটটি বাড়ি, একটি বিদ্যালয় ও দুটি গির্জা। বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি মাদারপুর গ্রামের শিবু সরেন, মন্টু মার্ডি, জিতু মার্ডির বাড়ি, শ্যামল মঙ্গল রমেশ স্মৃতি বিদ্যা নিকেতন ও মাদারপুরের দুটি গির্জা এবং জয়পুর গ্রামের মিকাই মুরমু, ল্যালন মুরমু, মাইকেল কিসকু, কমল মুরমু ও লুকাস মুরমুর বাড়ি।

শিবু সরেন, মন্টু মার্ডি ও জিতু মার্ডি বলেন, এ তিন পরিবারের বাড়ি সংলগ্ন আরেকটি বিদ্যুতের খুঁটির প্রয়োজন থাকলেও তা দেওয়া হচ্ছে না। শুধু এ কারণেই গেল ফেব্রুয়ারি মাসে অন্যান্য বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার সময় আমরা বিদ্যুৎ পায়নি। তখন চারদিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গোবিন্দগঞ্জ জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আব্দুল কাদের বলেন, ওই দুই গ্রামে একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে পাঠিয়ে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আসা হবে। আমাদের মিটারের স্বল্পতা আছে। তিনি এসে প্রতিবেদন জমা দিলে সমস্যার সমাধান করে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।

 
Electronic Paper