৭০ ফুটের রাস্তা ৪০ ফুট
সচেতন নীলফামারীবাসীর বিক্ষোভ
নীলফামারী প্রতিনিধি
🕐 ৫:১২ অপরাহ্ণ, মে ২৪, ২০১৯
নীলফামারী শহরের চৌরঙ্গী পর্যন্ত সড়ক সম্প্রসারণ বাদেও ৭০ ফুট করে জমি অধিগ্রহণ করার কথা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেকে) এটি অনুমোদনও হয়েছে। কিন্তু শহরের প্রবেশ মুখ কালিতলা থেকে চৌরঙ্গী পর্যন্ত ভূমি অধিগ্রহণ কমিয়ে নিয়ে ৪০ ফুটে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে শহরের সড়ক সম্প্রসারণ ক্ষতির মুখে পড়েছে। এর প্রতিবাদে জেলা শহরে মানববন্ধন করেছে সচেতন নীলফামারীবাসী।
বৃহস্পতিবার সকালে স্বাধীনতা স্মৃতি অম্লান চত্বর চৌরঙ্গী মোড়ে ঘ-টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ‘নীলফামারীকে গলাচিপা’ না বানানোর এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নীলফামারী পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ।
এতে বক্তব্য রাখেন জেলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি হাফিজুর রশিদ মঞ্জু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুর রহমান কোকো, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব শাহজাহান আলী চৌধুরী, কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি সফিকুল আলম ডাবলু, নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ সরকার, জেলা নারী ফোরামের সভাপতি আরিফা সুলতানা লাভলী, জাতীয় শ্রমিক পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বজলার রহমান, জেলা রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তালেব প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শহরে যানবাহন এমনকি জনসংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অবাধ চলাচল এখনই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যানজট তৈরি হচ্ছে। পরিকল্পিত নীলফামারী গড়তে হলে সড়ক সম্প্রসারণ এবং ভূমি অধিগ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্প অনুমোদন করে দিয়েছেন। অথচ এটি কাটছাঁট করা হচ্ছে। শহরকে কলুষিত করার জন্য।
নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, সৈয়দপুর থেকে নীলফামারী শহরের চৌরঙ্গী পর্যন্ত সড়ক সম্প্রসারণ বাদেও ৭০ ফুট করে জমি অধিগ্রহণ করার কথা।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেকে) এটি অনুমোদনও হয়েছে। কিন্তু শহরের প্রবেশ মুখ কালিতলা থেকে চৌরঙ্গী পর্যন্ত ভূমি অধিগ্রহণ কমিয়ে নিয়ে ৪০ ফুটে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে শহরের সড়ক সম্প্রসারণ ক্ষতির মধ্যে পড়বে।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয় গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এটি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুর রহমান বলেন, একনেকে পাস হওয়া ডিজাইন অনুযায়ী রাস্তা হচ্ছে। এর ব্যতয় শহরেও হচ্ছে না। তবে শহরের কালিতলা থেকে চৌরঙ্গী পর্যন্ত ভূমি অধিগ্রহণে কিছুটা কাটছাট করা হয়েছে।
প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি, ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এটি করা হয়েছে। তবে ডিজাইন অনুযায়ী রাস্তার পাশে ফুটপাথ এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।