ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় বিপন্ন পরিবেশ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
🕐 ৯:০৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯

অল্প উচ্চতার ড্রামসিটের চিমনির ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হয় বলে বেশি উচ্চতার ইটের চিমনি বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। কিন্তু সরকারের এ নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাইবান্ধায় অনেক ইটভাটার মালিক এ আদেশ মানছে না। এখনও অল্প উচ্চতার ড্রামসিটের এবং ইটের চিমনি ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। ফলে কালো ধোঁয়ায় এলাকার পরিবেশ বিপন্ন হয়ে পড়ছে।

জানা যায়, গাইবান্ধায় প্রতিবছরই ইটভাটার সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু এসব ভাটা স্থাপনে লাইসেন্স গ্রহণের কথা থাকলেও মালিকরা তা আমলে নিচ্ছে না। প্রশাসনের সামনে ইটেরভাটা স্থাপন করা হলেও কোনো পদক্ষেপই নেওয়া হচ্ছে না। গত দুই এক বছরের মধ্যে ২-১ টি অবৈধ ইটভাটায় জরিমানা করা হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অজ্ঞাত কারণ দেখিয়ে নিরব প্রশাসন।

এদিকে, ২০১৭ সালে তিনটি অবৈধ ইটভাটা মালিকের কাছ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ২০১৬ সালে কারো কোনো জরিমানা করা হয়নি। তবে ২০১৫ সালে অবৈধ ইটভাটা মালিকদের কাছে জরিমানা করা হয় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা।

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন ইটভাটা স্থাপনের লাইসেন্স দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে পরিত্যক্ত অনাবাদি জমি, নিচু জলাশয়ের ধারে, নদীর পাশে এবং কমপক্ষে চারদিকে ১ কিলোমিটার জনশূন্য এলাকায় ইটভাটা স্থাপনের অনুমোদন দেওয়ার কথা। কিন্তু গাইবান্ধার কোনো ইটভাটা মালিকই এসব শর্ত মানছেন না।

গত ৩ বছরে মাত্র ২৭টি ইটভাটা মালিককে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৮টি ইটভাটার লাইসেন্সের মেয়াদ রয়েছে। বাকি ৯ টির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও ওই ইটভাটা মালিকরা তা আর নবায়ন করেননি।

পলাশবাড়ি উপজেলার ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এফ জে ব্রিকসের মালিক মুকুল সরকার বলেন, এ উপজেলায় প্রায় ৪০টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এরমধ্যে লাইসেন্স রয়েছে তার ইটভাটাটিসহ মাত্র দুটির। কিভাবে লাইসেন্স বিহীন ইটভাটা বছরের পর বছর এভাবে চলতে পারে তা তার জানা নেই।

জেলা ইটভাটা মালিকের সভাপতি আব্দুল লতিফ হক্কানী বলেন, অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় এ ধরনের ইটভাটার সংখ্যা বাড়ছে।

 
Electronic Paper