ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

গরিবের সুখ কালাই রুটি

জে ইতি, হরিপুর (ঠাকুরগাঁও)
🕐 ১০:০৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯

এই শীতে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খোলা আকাশের নিচে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষকে কালাইয়ের রুটি খেতে দেখা যায়। মুখরোচক ও পুষ্টিকর কলাইয়ের রুটি বিক্রি করে শীতের এ মৌসুমে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করছেন।

সুস্বাদু তাই ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় খুবই জনপ্রিয় কলাইয়ের রুটি। অনেকটা যেন গরিবের সুখ এই রুটি। শীত মৌসুমে এ উপজেলার চৌরঙ্গীবাজার, কাঁঠালডাঙ্গীবাজার, যাদুরানীবাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে কলাই রুটি বিক্রির ধুম পড়েছে। প্রতিবছরেই এমনটা চলে। এবারও তার ব্যত্যয় হয়নি। উপজেলা শহরের বিভিন্ন রাস্তার পাশে, বিভিন্ন হাটবাজারে চলছে এ রুটি বিক্রির ধুম।

এ অঞ্চলে কলাই রুটি বিক্রি করে অনেক নারীর জীবিকার সন্ধান হয়েছে। রুটি বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম জানান, কলাই রুটি খেতে সবজি লাগে না। চিনি, গুড়, কিংবা মিষ্টিও লাগে না। প্রয়োজন হয় না মাংসের। শুধু তেল, লবণ, মরিচ, রসুন, ধনেপাতা আর পিয়াজ দিয়ে তৈরি এ রুটি ঝালবাটা দিয়ে খেতে হয়। ক্রেতারা রুটি হাতের ওপর নিয়ে খেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। প্রতিদিন রাতে দুই থেকে তিন হাজার টাকা বিক্রি হয়। লাভও হয় ছয়-সাতশ টাকা। রাস্তার পাশে ফুটপাতে সামান্য বেঞ্চ আর প্লান্টিক টুলের ওপর কিংবা কাঠের পিঁড়িতে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা। কেউ কেউ খোলা আকাশের নিচে বসে রুটি বিক্রি করে চলছেন।

রুটি বিক্রেতা আলম জানান, ভদ্রলোকদেরও কম পছন্দ নয় কলাইয়ের রুটি। তবে তারা তো ফুটপাতে এসে বসতে পারে না। কাজের লোকের মাধ্যমে কিনে নেন। কলাইয়ের রুটি বানানোর কৌশল হিসেবে দেখা যায়, চাল ও গমের আটা মেশানো আটা, পরিমাণমতো লবণ পানি দিয়ে আটা মাখিয়ে তৈরি করা হয় কলাইয়ের রুটি তৈরির আটা। মাখানো কাজটি যত ভালো হবে, রুটি তত ভালো ও সুস্বাদু হবে। বিক্রেতা রুবেদা খাতুনের ভাষায়, শুধু কলাইয়ের রুটি খেতে ভালো লাগে না। তিতকুটে ও কসটা লাগে। চাল, গম ও ভুট্টার আটার মিশ্রণ দেওয়া হয় তাতে।

উপজেলায় সরেজমিন দেখা যায়, কলাইয়ের রুটি আয়তনে বড় এবং বেশ পুরো। পানি মাখানো আটা গোল করে একটি পলিথিনের ওপর রেখে আরেকটি পলিথিন দিয়ে হাতের চাপে বৃত্তকার করে চুলার তাওয়াতে সেঁকে সেঁকে রুটি তৈরি করা হয়।

 
Electronic Paper