তরুণরা চায় ইভিএম
রংপুর-৩
সুশান্ত ভৌমিক, রংপুর
🕐 ৯:০২ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
রংপুর-৩ (সিটি করপোরেশন ও সদর) আসনে পুরো নির্বাচনী এলাকায় এই প্রথমবারের মতো ব্যবহার হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। ইভিএম নিয়ে বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিয়েছে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তবে রংপুরের তরুণরা চান ইভিএম।
ইতোমধ্যে ইভিএম মেলাসহ মাঠ পর্যায়ে সচেতনতামূলক বেশকিছু কার্যক্রম করা হয়েছে। বিএনপি অভিযোগ করছে, ক্ষমতাসীনরা ভোট চুরির জন্যই ইভিএম ব্যবহার করতে চায়। কারণ ব্যালট পেপারে ভোট হলে বিএনপি প্রার্থীরা জয়ী হবে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, ভোট চুরি, ভুয়া ভোটার তৈরির সুযোগ নেই বলেই বিএনপি ইভিএমের বিরোধিতা করছে। তারা চায় না দেশ আরও এগিয়ে যাক।
গত বছর ডিসেম্বরে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইভিএমের পরীক্ষামূলক ব্যবহার হয়েছিল রংপুর সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ কেন্দ্রে। অভিজ্ঞতার আলোকে ব্যবহারের পক্ষে সেই কেন্দ্রের ভোটাররা। তথ্য-প্রযুক্তি সচেতন তরুণদের সমর্থনও ইভিএমে। তারা চায় দেশ এগিয়ে গেছে। ডিজিটাল যুগে ইভিএম হলে ভালো হয়।
রংপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি মোজাফফর হোসেন বলেন, এটা কোনো সভা-সমিতির নির্বাচন হলে পরীক্ষামূলকভাবে এর ব্যবহার হতে পারে। আমরা মনে করি জাতীয় সংসদের মতো গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে ইভিএম গ্রহণযোগ্য নয়।
রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল বলেন, আমরা এখন ইভিএমের কার্যক্রম শুরু করেছি। যুক্তরাষ্ট্রে যদি ১৯৬৪ সালে শুরু হয়ে থাকে তাহলে আমরা ৫২ বছর পর এই কার্যক্রম করছি। অনেক আগেই আমাদের এটা শুরু করা দরকার ছিল।
রংপুর জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এনামুল হাবিব বলেন, আমরা আশা করছি রংপুর-৩ আসনের ১৭৫টি কেন্দ্রেই আমরা ইভিএম বাস্তবায়ন করতে পারব।
রংপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন বলেন, কী প্রক্রিয়ায় ভোটদান করা যায় এবং কী প্রক্রিয়ায় ফল প্রকাশ করা হয় সেটা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আশা করি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এটা অনুষ্ঠিত হবে। ১৭৫টি ভোটকেন্দ্রের ৯০৬টি বুথে দেশের ইতিহাসে প্রথম ইভিএমে ভোট দিতে পারবেন রংপুর-৩ (সিটি করপোরেশন ও সদর) সংসদীয় এলাকার ৪ লাখ ৪২ হাজার ১৪৯ ভোটার।