ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

‘কুনবেলা হবে মোর ভাতা’

বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
🕐 ৯:৫৪ অপরাহ্ণ, মে ২০, ২০১৮

‘মি আর কদিন বাঁচিম, মোর বয়স ৬৮ বছর পার হয়ে গেল। চেয়ারম্যান মেম্বারলারের পিছন পিছন ঘুরে ঘুরে এলাও একখান বয়স্ক ভাতার কার্ড পানুনি। কুনবেলা হবে মোর বয়স্ক ভাতা? বয়স্ক ভাতার কার্ড কি কবরত লেজাম মি’, মনের দুঃখগুলো এভাবে আক্ষেপের সঙ্গে বলছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৬৮ বছরের বেশি বয়সের অসুস্থ বৃদ্ধ গিয়াস উদ্দীন।

তিনি উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের লালাপুর জঙ্গলবাড়ী গ্রামের মৃত হসরত আলীর ছেলে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বয়স্ক ভাতার তালিকা প্রণয়নের সময় তার নাম অপেক্ষমাণ থাকলেও পরে নামটি বাদ পড়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী, গিয়াস উদ্দীনের জন্ম ১৯৫০ সালের মার্চ মাসে। এ হিসেবে তার বয়স ৬৮ বছর। কিন্তু তার অভিযোগ ভোটার হওয়ার সময় তার বয়স ১২ বছর কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার বয়স ৮০ বছরের বেশি বলে জানান তিনি। গিয়াস উদ্দীন জানায়, তার সাত ছেলে দুই মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। বড় ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। বাকি ছয় ছেলে দিনমজুরি করে সংসার চালায়। অভাবের তাড়নায় ছেলে মেয়েরা খোঁজ তা খবর নিতে পারে না।
শেষ বয়সে সরকারি বয়স্ক ভাতা সহায়তা পাওয়ার আশায় গত বছর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. দবিরুল ইসলাম এর সুপারিশসহ একখানা আবেদন উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে দাখিল করেন তিনি। কিন্ত তাতেও কোনো লাভ হয়নি। এদিকে দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য রাসেদুজ্জামান ও চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, বয়স্ক ভাতার তালিকায় তার নাম রাখা হয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কার্ডের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলে জানান।
এমপির সুপারিশসহ গিয়াস উদ্দীনের আবেদনপত্র প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোজাহারুল ইসলাম জানান, তার আবেদনপত্র প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

 
Electronic Paper