ঢাকা, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কাউনিয়ায় লোকালয়ে ঢুকছে তিস্তার পানি

মোস্তাক আহমেদ, কাউনিয়া
🕐 ৪:৪২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২৩

কাউনিয়ায় লোকালয়ে ঢুকছে তিস্তার পানি

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে লোকালয়ে ঢুকেছে নদীর পানি, ফলে তীরবর্তী নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঢুষমারা চর, তালুক শাহবাজ, পূর্ব নিজপাড়ার অংশ, গদাই, পাঞ্জরভাঙ্গা, গোপীডাঙ্গা, আরাজি হরিশ্বর, প্রাননাথ চর, চর হয়বতখাঁ, চর গনাই, আজমখাঁ গ্রামের ৫ শতাধিক বাড়ীঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও আমন ধানের ক্ষেত ও বীজ তলা পানিতে ডুবে গেছে। প্রায় অর্ধ শতাধিক পুকুর ও মৎস্য খামারের মাছ ভেসে গেছে।

জানা গেছে উজানের ঢলে শুক্রবার রাত থেকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। শনিবার সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকে এতে করে তিস্তা ব্যারেজের ভাটিতে অবস্থিত কাউনিয়ার বেশ কয়েক টি তিস্তার চর এলাকায় পানি প্রবেশ করে। কৃষি বিভাগ জানায় বিস্তীর্ণ চরের প্রায় দুই হাজার একর জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চরাঞ্চলের কৃষক।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাগেছে উজান থেকে পানি আসায় ডালিয়া ব্যারেজের ৪৪ টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে ফলে কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

ঢুষমারা চরের চাষী নজরুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তাদের এলাকার ১শ বাড়ি ও আমন ধানের ক্ষেত ও বীজ তলা পানিতে তলিয়ে গেছে ।

বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী বলেন, তার এলাকায় ৫টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে এবং নদী ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে।

টেপামধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে এবং চরাঞ্চলের গ্রামগুলোতে পানি প্রবেশ করেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবীব সরকার বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরাঞ্চলের গ্রাম গুলোতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। চেয়াম্যানদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদেও তালিকা চাওয়া হয়েছে। আমরা উপজেলা প্রশাসন ও ত্রান বিভাগ বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি।

নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিদুল হক জানান, আমি সরেজমিনে দুইজন মেম্বার কে সাথে নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করেছি। বন্যা মোকাবেলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া আছে। আশা করছি তেমন সমস্যা হবে না।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, কাউনিয়া তিস্তা সেতু পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি বাড়লে পানিও বাড়বে বলে তিনি আশংকা করছেন।

 
Electronic Paper