কাউনিয়া রেল জংশন স্টেশনে নেই আধুনিকতার ছোঁয়া
মোস্তাক আহমেদ, কাউনিয়া
🕐 ৪:৪৮ অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০২৩
চব্বিশ ঘন্টায় ২৭টি ট্রেন যাতাযত করে কাউনিয়া রেল জংশন হয়ে। মালামাল ও যাত্রী পরিবহনে বছরে প্রায় দেড় কোটি টাকা আয় হলেও রেল জংশনটি প্রতিষ্টার ৪৬ বছরেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি রংপুরের এ জংশন স্টেশনে। ডিজিটাল যুগেও নেই টিকিট বিক্রীর জন্য ইনটারনেট সুবিধা। তাই হরহামেশাই টিকেট যায় কালো বাজারে। সুযোগ সুবিধা না বাড়লেও দিন দিন বাড়ছে যাত্রী দুর্ভোগ আর নাগরিক বিড়ম্বনা। এছাড়াও রয়েছে জনবল সংকট।
স্টেশন সুত্র জানায়, ৯টি আন্তঃ নগর ট্রেন, ৮টি মেইল ট্রেন, ৪টি লোকাল ও ৬টি কমিউটার ড্যেমু ট্রেন চলে এই রেল জংশন দিয়ে। অথচ রেলওয়ে জংশন স্টেশনটির চরম জনবল সংকট। আছে ঝুকিপূর্ণ ভবনে কার্যক্রম, গন শৌচাগার এর অভাব, যাত্রী বিশ্রামাগার অপরিচ্ছন্ন, বিদ্যুৎ চলে গেলে ভূতুড়ে এলাকায় পরিনত, টোপলাটানা পাটির উপদ্রপ, বিশুদ্ধ পানির অভাব, মুসাফির খানা রয়েছে হকারের দখলে। এছাড়াও গরু ছাগলে বিরাণভুমি এই স্টেশন মাঠ।
স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমে স্টেশনের চাল ও ছাদ দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে। এতে করে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।
আন্তঃনগর ট্রেনের অপেক্ষমান যাত্রী ওয়াহেদুল করীম জানান, টিকেটের কালেবাজারী তো রয়েছেই সেই সাথে রয়েছে নেশা খোরদের উৎপাত। শুধু তাই নয় বর্ষাকালে বৃষ্টির কারণে স্টেশনের মূল্যবান কাগজপত্র নষ্ট হবার উপক্রম হয়ে পড়ে। গরু ছাগলের অবাধ বিচরণ সহ নানা সমস্যা থাকলেও গত অর্থবছরে স্টেশন থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা আয় হয়েছে। শুধু গত বছরই নয় প্রতি অর্থবছরেই এই স্টেশন থেকে সরকার আয় করছে কোটি টাকার উপর।
যাত্রীদের অভিযোগ, গন শৌচাগার না থাকায় মহিলা যাত্রীদের বিড়ম্বনার শেষ নাই। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বালাই নেই সেখানে। ২জন সুইপার কাগজে কলমে থাকলেও তাদের কাজে দেখা যায় না। খাবার পানির জন্য দুইটি টিউবয়েল থাকলেও অধিকাংশ সময় থাকে নষ্ট। রেলওয়ে মেডিকেলের আস্তিত্ব কত দিন আগের ইতিহাস তা বর্ননা করা অসম্ভব, ফলে ট্রেনে কাটা রোগি ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।