গোবিন্দগঞ্জে ব্যাংক ডাকাতির রহস্য উন্মোচন, টাকা উদ্ধার
গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ৭:২২ অপরাহ্ণ, মে ২৯, ২০২৩
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) কোচাশহর শাখার ভল্ট থেকে ১৪ লাখ টাকা লুটের ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। ব্যাংকের নৈশ প্রহরীই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তার কাছ থেকে সাড়ে ১২ লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ মে) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ব্যাংক শাখা কতৃপক্ষ প্রয়াওশই নৈশপ্রহরী জুয়েলের মাধ্যমে ভল্টের চাবি দিয়ে ভল্ট খোলা-বন্ধের কাজ করাতেন তারা। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) যথারিতি ভোল্টের তালা বন্ধের জন্য চাবিদেন ব্যাবস্থাপক, সেই সুজগকে কাজে লাগান জুয়েল তালা বন্ধ না করেই চাবি ফেরত দেন শাখা ম্যানেজারের হাতে। দুদিন বন্ধের পর রোববার (২৮ মে) সকালে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার জেসমিন আক্তারসহ অন্যান্য স্টাফরা ব্যাংকে এসে নৈশ্য প্রহরীকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান এবং ভল্ট থেকে টাকা লুটের বিষয়টি অবগত হন। এসময় জুয়েল সম্পূর্ণ আঘাতহীন ছিলেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সহায়তায় বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে পুলিশ ।
নিরাপত্তাকর্মী জুয়েলকে ঘটনার বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক জিজ্ঞাসাবাদে সে একেক সময় একেক রকম কথাবার্তা বলতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশের কাছে জুয়েল স্বীকার করে যে, সে তার সহযোগিদের সহায়তায় নিজেই ব্যাংকের ভল্টের তালা খুলে ভল্টে রক্ষিত টাকা চুরি করেন। পরে নিজেই নিজের হাত, পা বেঁধে ডাকাতি নাটকের অবতারণা করেন। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৬০০ টাকার মধ্যে জুয়েলের বসতবাড়ী ও কোচাশহর কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে আসামীর শয়ন কক্ষ হতে ১২ লাখ ৬৫ হাজার তিনশ টাকা উদ্ধার করা হয়।
জুয়েল উপজেলার শ্রীপতিপুর গ্রামের মৃত সামছুল হকের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার-এ সার্কেল ধ্রুব জ্যেতির্ময় গোপ, থানার অফিসার ইনচার্জ ইজার উদ্দিন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম প্রমুখ।