৩০ বছর অন্যের বারান্দায় কাটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কল্যানে পেলেন পাকা ঘর
নির্মল রায়, গঙ্গাচড়া
🕐 ৮:৪৪ অপরাহ্ণ, মে ২৩, ২০২৩
আমার জীবনে ভাবিনি পায়ের তলায় মাটি হবে, পাকা ঘর হবে। ছিলাম মানুষের বারান্দায়। এখন আমাকে পাকা ঘর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩০ বছর আগে স্বামীকে হারিয়ে জীবন অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল। আজ শেখ মুজিবের মেয়ে শেখ হাসিনা আমাকে আলমবিদিতরের খামারমোহনা গ্রামে পাকা ঘর ও জমি দিয়ে আমার জীবনে আলো দিয়েছেন। আমাকে আর মানুষের ঘরের বারান্দায় থাকতে হবে না। প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে কান্নাজড়িত কন্ঠে এসব কথা বলেন ৫০বছর বয়সী মরিয়ম বেগম।
প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতাধীন ঘর ও জমি পেয়েছেন ভূমিহীন ও গৃহহীন আলমবিদিতর ইউনিয়নের খামার মোহনা গ্রামের মরিয়ম বেগম।
ঘর ও জমি পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দুই হাত তুলে মোনাজাত ধরে মরিয়ম বেগম বলেন, আমার স্বামী কবে মারা গেছে ঠিকমত আমি বলতে পারবো না। কারণ বহু আগে মারা গেছে। এতদিন প্রায় ৩০ বছর ধরে কষ্ট করে জীবন কাটাইছি। নিজের ঘর ছিল না, জমি ছিল না। মরিয়ম বলেন, আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে ও মেয়ের বিয়ে অনেক কষ্ট করে দিয়েছি। তারা ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টসে কাজ করছে। তাদেরই কোন রকমে সংসার চলছে। আমার পায়ের তলায় কোনো মাটি ছিল না। শুধু রাতে দুচোখের পানিতে বালিশ ভিজেছে। সেই আশা পূরণ করেছেন শেখের বেটি। আল্লাহর পরে শেখের বেটি। তিনি আমাকে ঘর দিয়েছেন, সঙ্গে দিয়েছেন জমি।
স্বামী মারা যাওয়ার পর অসহায় জীবনযাপন করেছেন জানিয়ে মরিয়ম বলেন, কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। নিজে অন্যের জমিতে ও বাড়িতে কাজ করেছি। তিন বেলা এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে খেতেও পারিনি। কোনরকম খেয়ে পড়ে বেঁচে ছিলাম। দীর্ঘ ৩০ বছর বারান্দায় কাটিয়েছি। কেউ কোনো সাহায্য সহযোগিতা করেনি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে ঘর ও জমি দিয়েছেন। আমি তার জন্য দুহাত তুলে মোনাজাত ধরে দোয়া করি। তিনি যেন দীর্ঘজীবী হন। আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবার তাকে প্রধানমন্ত্রী বানান। আমার মতো যারা অসহায়, তারা যেন এমন করে ঘর ও জমি পান।
ইউএনও নাহিদ তামান্না বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ও জমি ছিন্নমূল মানুষকে দেয়া হয়েছে। তাদের ঘর ও বাড়ি ছিল না। তারা উদ্বাস্তু ছিলেন।