দুই স্কুল পড়ুয়া কিশোরকে বলাৎকার (ধর্ষণ) এর অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতার নামে ওই দুই কিশোরের নানা সামচুল হক বাদী হয়ে সোমবার (২২ মে) বিকালে ফুলবাড়ী থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। পরে সোমবার রাতেই উপজেলার কাশিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা জয়ন্ত কুমার মোহন্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জয়ন্ত গ্রেপ্তার হওয়ায় রাতেই দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌকির হাসান তমাল।

গ্রেপ্তার ও ছাত্রলীগ নেতা জয়ন্ত কুমার মোহন্ত উপজেলার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং একই ইউনিয়নের পূর্ব পানিমাছকুটির মৃত দেবেন চন্দ্র মোহন্তের ছেলে।

ভুক্তভোগী দুই কিশোরের পরিবার ও মামলা সুত্রে জানা গেছে, গত রবিবার (২২ মে) ছাত্রলীগ নেতা জয়ন্ত ফোন করে ওই কিশোরদের তার দোকানে ডাকেন। তার ফোন পেয়ে দুই কিশোর তাদের আরও দুই বন্ধুসহ উপজেলা গেট সংলগ্ন জয়ন্তের দোকানে যায়। জয়ন্ত তাদেরকে আপ্যায়ন করিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর তিন কিশোরকে বাড়ির পাশের একটি দোকানে চা-নাস্তা করতে পাঠিয়ে দেন। এক কিশোরকে জয়ন্ত নিজ বাড়িতে নিয়ে গলায় ছরি ধরে ভয় দেখান এবং ‘ধর্ষণ’ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর কিছু পরে ভুক্তভোগী কিশোরকে তার বন্ধুরা খুঁজতে আসলে জয়ন্ত আরো এক কিশোরকে আটক করেন। এতে অপর দুই কিশোর পালিয়ে যায়। এরপর জয়ন্ত দ্বিতীয় কিশোরের গলায় ছুরি ধরে তাকেও ধর্ষণ করেন। পরে কিশোররা বাড়িতে ফিরে অসুস্থ বোধ করলে তাদের অভিভাবকদের জিজ্ঞাসায় তারা ঘটনটি খুলে বলে। এরপর তাদেরকে গতকাল সোমবার সকালে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ফুলবাড়ী হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। কিছু ফাইন্ডিংস রয়েছে। আমারা ভুক্তভোগীদের কুড়িগ্রাম হাসপাতালে রেফার্ড করে দিয়েছি।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌকির হাসান তমাল জানান, গ্রেপ্তার জয়ন্তের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তার দায় সংগঠন নেবে না। তাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ উপজেলা শাখার এক জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকায় জয়ন্তকে সোমবার রাতেই দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রলীগ নেতা জয়ন্তকে মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে।