ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রাজারহাটে ভাসমান স্মৃতিসৌধ দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়

রাজারহাট প্রতিনিধি
🕐 ৭:৪৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০২৩

রাজারহাটে ভাসমান স্মৃতিসৌধ দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়

রাজারহাটের চাকিরপশার বিলে দৃষ্টি নন্দন ভাসমান স্মৃতি সৌধ দেখতে দিনে-রাতে ভিড় জমাচ্ছে উৎসুক জনতা। গত ২৬মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের রাত থেকে এটি দৃশ্যমান হয়েছে। রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী এটি তৈরি করেছেন।

 

জানা গেছে, উপজেলা সদরের চাকিরপশার বিলের বাশেরদহ নামক স্থানে ২১ফিট লম্বা (জাতীয় স্মৃতি সৌধের আদলে) ভাসমান মিনি স্মৃতি সৌধটি তৈরি করেতে রড,লোহার এ্যাঙ্গেল,পাতি,বিভিন্ন রঙের লাইট ও কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে। এটি দেখতে দিনে-রাতে শতশত আবাল,বৃদ্ধ,বনিতা ভিড় জমাচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আনেয়ার হোসেন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ওখানে খুটখাট শব্দ শুনি। হঠাৎ স্বাধীনতা দিবসের রাতে নানা রঙের লাইটের উজ্বল আলোয় অপরুপ সৌন্দর্য মন্ডিত স্মৃতি সৌধ দেখে আমার অবাক লাগে।

শিক্ষক মোবাশ্বের আলম লিটন বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী শৈল্পিক ভাবনার ব্যক্তিত্ব ও মনের মাধুরী দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মরনে এবং নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে অসাধারণ প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়েছেন। এটি সবার কাছে ভালো লাগছে।

কলেজ ছাত্র মামুন বলেন,দেখে হঠাৎ করে বোঝার উপায় নেই লোহার পাতি,এ্যাঙ্গেল দিয়ে তৈরী। অপরুপ কারুকার্যে ও আলোজ সজ্জায় নির্মিত ভাসমান স্মৃতি সৌধটি দেখে আমি মুগ্ধ। একবার দেখলে বারবার দেখার ইচ্ছে করে।

জাহিদ ইকবাল বলেন, নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে ও মহান স্বাধীনতার ইতিহাস জানাতে এই স্মৃতি সৌধটি তৈরী করেছি। প্রায় অর্ধমাসের প্রচেষ্টায় এটি করা সম্ভব হয়েছে। দিনের চেয়ে রাতে এটি দেখতে বেশি ভালো লাগে বলে তিনি জানান। ঈদুল ফিতর পর্যন্ত এটি সর্বস্তরের জনসাধারনের জন্য উম্মুক্ত রাখা হবে বলেন তিনি।

 
Electronic Paper