রবিবার দুপুর ১ টার দিকে উপজেলা সদরের ব্র্যাক মোড় থেকে শেখ হাসিনা ধরলা সেতু সড়কের পানিমাছকুটি কাশিয়াবাড়ী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের পানিমাছকুটি এলাকার হাফিজুর রহমানের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী মফিজুল ও এমদাদুল হক জানান, উপজেলার আছিয়ার এলাকার স্বপন মিয়ার ট্রাক্টর ধরলা নদী চর থেকে বালু বোঝাই করে ফুলবাড়ী সদরের দিকে যাচ্ছিল। ট্রাক্টরটি বেপরোড়া গতিতে কাশিয়াবাড়ী এলাকায় পৌছিলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিশু মেরাজকে চাপা দেয়। ট্রাক্টর চাপায় গুরুতর আহত হয় শিশু মেরাজ। পরে ট্রাক্টরের চালক কৌশলে পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা আহত শিশুটিকে দ্রুত উদ্ধার করে ফুলবাড়ী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

নিহত শিশুর বাবা হাফিজুর রহমান কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, বালু বোঝাই ট্রাক্টরের চাপায় শুধু আমার ছেলের প্রাণ কেড়ে নেননি। এই বালু বোঝাই ট্রেক্টরের চাপায় একই স্থানে কয়েক মাস আগেই আরও এক শিশুর প্রাণ কেড়ে নেন। এসময় তিনি অবৈধ ট্রেক্টরের মালিকসহ চালকদের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।

ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুণ-অর-রশিদ ট্রাক্টরের চাপায় নিহত শিশু মেরাজের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যতদিন না এই উপজেলার শতশত অবৈধ ট্রক্টরগুলো সড়কে চলাচলের জন্য নিয়ম-নীতি ও আইন না মানবেন ততদিন পর্যন্ত এরকম দুঘর্টনার শিকার হতে হবে বলে তিনি আশঙ্কা করেন। তাই তিনি এ উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ট্রাক্টর ও ট্রলির মালিক ও চালকদের সড়ক আইন মেনে চলার জন্য আহবান জানার পাশাপাশি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুর রহমান জানান, ঘাতক ট্রাক্টর চালক পলাতক রয়েছে। ট্রাক্টরটি আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ট্রাক্টরের মালিক ও চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিবো। সেই সাথে আর যাতে কোন দুঘর্টনার শিকার না হয়। সেজন্য সড়ক আইন মেনে চলার জন্য ট্রাক্টরের মালিক ও চালকদের সাথে আলোচনা করা হবে।