ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ঠাকুরগাঁও উপনির্বাচন: দ্বি-মুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা

বাদল হোসেন, পীরগঞ্জ
🕐 ৮:২৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২৩

ঠাকুরগাঁও উপনির্বাচন: দ্বি-মুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা

বিএনপি প্রার্থীর পদত্যাগে শূন্য ঠাকুরগাঁও -৩ (পীরগঞ্জ-রানীশংকৈল) আসনে উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আগামীকাল (১ ফেব্রুয়ারি)।

নির্বাচন সুষ্ঠ করতে এরইমধ্যে সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। নিরপেক্ষ ভোট হলে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজ উদ্দীন আহমেদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায়ে মধ্যে তুমুল লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।

পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল উপজেলার দুইটি পৌরসভা ও ১৬ টি ইউনিয়ন নিয়ে ঠাকুরগাঁও-৩ আসন। কয়েক বছর ধরে আওয়ামী লীগের শরীক দল ওয়ার্কার্স পার্টি ও সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে এ আসনটি ছাড় দিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ। ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করেন ওয়ার্কাস পার্টির ইয়াসিন আলী। আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলের কারণে তিনি হেরে যান। বিজয়ী হন বিএনপি নেতা জাহিদুর রহমান।

এবার আওয়ামী লীগের মনোনীত ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে হাতুড়ি মার্কা নিয়ে ভোট করছেন ইয়াসিন আলী। লাঙ্গল মার্কা নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন। একতারা মার্কা নিয়ে লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী পীরগঞ্জ পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায়। টেলিভিশন মার্কা নিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফ্রন্ট (বিএনএফ) এর সিরাজুল ইসলাম, গোলাপ ফুল মার্কা নিয়ে জাকের পাটির এমদাদ হোসেন ও আম মার্কা নিয়ে ন্যাশনাল পিলপলস্ পার্টির (এনপিপি) সাফি আল আসাদও প্রার্থী হয়েছেন। ভোটের মাঠে এনপিপি, বিএনএফ এবং জাকের পার্টির প্রার্থীর তেমন কোন অবস্থান নেই। প্রতীক বরাদ্দের পর মাঠে সক্রিয় অবস্থানে ছিলেন জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দীন আহমেদ ও ওয়ার্কাস পার্টির অধ্যাপক ইয়াসিন আলী।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্বতস্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায় প্রার্থীতা ফিরে পেলে বদলে যায় ভোটের হিসাব নিকাশ।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় অনেকে নেতা-কর্মী মুখে ইয়াসিন আলীর হাতুড়ি মার্কার কথা বললেও গোপনে কাজ করতে শুরু করেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের। এতে ইয়াসিন আলীর অবস্থানে ভাটা পড়ে। এরইমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন গোপাল চন্দ্র। পিতার মৃত্যুও ঘটে। আহত এবং শোকাহত গোপাল চন্দ্র আবেগ ভড়া আবদার নিয়ে হাজির হতে থাকেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। এতে মানুষের সহানুভুতি ও ভালবাসায় লাইম লাইটে আসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী গোপাল চন্দ্র রায়।

একদিকে ভোটে অংশ গ্রহন না করতে বিএনপি গ্রামগঞ্জে প্রচারণা চালাচ্ছে, তারা বলছেন এই সরকার অবৈধ পাতানো ভোটে কেউ ভোট দিতে যাবেন না। অপরদিকে একটি অংশ আবার গোপনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায়ের পক্ষে কাজ করছেন বলে জানিয়েছন একটি সূত্র। সবমিলিয়ে জাতীয় পার্টির হাফিজউদ্দীন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী গোপাল চন্দ্রের মধ্যে লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছেন ভোটাররা। তবে শেষ পর্যন্ত কে হাসবেন বিজয়ের হাসি, এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত।

উল্লেখ্য, এ আসনে ১২৮ টি কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ২৪ হাজার ৪৩৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৬৫ হাজার ২৩৫ জন এবং নারী ১ লাখ ৫৯ হাজা ৫০৪ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১২৮টি। বুথ ৮০৮ টি। প্রতিটি কেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশ দুইজন মহিলা পুলিশ আনসার সদস্য মোতায়ন থাকবে। এছাড়াও সাত প্লাটুন বিজিবি, ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখবে নির্বাচনী এলাকা। ভোট গ্রহণ করা হবে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনে।

 
Electronic Paper