ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দম্পতিকে মারধরের অভিযোগ

হাতীবান্ধা প্রতিনিধি
🕐 ৫:০৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দম্পতিকে মারধরের অভিযোগ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) দিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে শাহ আলম ও হাসিনা বেগম দম্পতিকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত ওই দম্পতি বর্তমানে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

এ ঘটনায় আজ রবিবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামলকে প্রধান আসামি করে দশ জনের নামে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী হাসিনা বেগম।

অভিযুক্ত আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা। এর আগে শনিবার ভোরে উপজেলার মিলন বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল, গ্রাম পুলিশ পাভেল, আফজাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, শহিদুল ইসলাম, ভবেন্দ্র, আব্দুল গফুর, নূরনবী ও আজিজ।

জানা গেছে, শাহ আলম শাহ বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামলের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে লেখালিখি করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার ভোরে ইউপি চেয়ারম্যান শ্যামল শাহ আলমকে তুলে আনার জন্য তার বাড়িতে ৮-১০ জন গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে দেয়। গ্রাম পুলিশরা শাহ আলমকে নির্যাতন ও মারধর করেন। এসময় স্বামী শাহ আলমকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে স্ত্রী হাসিনা বেগমকেও বেধড়ক মারধর করেন তারা। এরপর জোড় পূর্বক শাহ আলমকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন গ্রাম পুলিশরা। শাহ আলমের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা পথিমধ্যে মিলনবাজার এলাকায় স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা মশিয়ার রহমান বলেন, চৌকিদাররা জোর পূর্বক শাহ আলমকে টেনে হিচড়ে অটোতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলো। আমরা স্থানীয়রা কারণ জানতে চাইলে তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি চৌকিদাররা। পরে স্থানীয়রা শাহ আলমকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

নির্যাতনের শিকার শাহ আলম বলেন, শ্যামল আমার বাড়িতে চৌকিদার পাঠিয়ে আমাকে আর আমার স্ত্রীকে নির্যাতন ও মারধর করে। আমি আর কিছুই বলতে পারি না। চোখ খুলে দেখি আমি হাসপাতালে।

শাহ আলমের স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, শ্যামল চেয়ারম্যান আমাকে ও আমার স্বামীকে চৌকিদার দিয়ে মারধর করেছেন। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ পাভেল বলেন, আমরা শাহ আলমকে মারধর করিনি। শ্যামল স্যার তাকে পরিষদে নিয়ে আসতে পাঠায়। তাই আমরা তার বাড়ি থেকে তাকে নিয়ে আসতে যাই।

এ বিষয়ে জানতে গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল ও হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

 
Electronic Paper