ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মামলা করে প্রাণনাশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বাদী

রাজারহাট প্রতিনিধি
🕐 ৫:৪৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩

মামলা করে প্রাণনাশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বাদী

রাজারহাটে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট মামলার আসামিরা জামিনে বেড়িয়ে এসে বাদীসহ তার পরিবারের লোকদের হত্যার হুমকি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। নিরাপত্তাহীনতায় মামলার নিরীহ বাদীসহ পরিবারের লোকরা আসামীদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ ঘটনায় নিরাপত্তা ও পুলিশী সহায়তা চেয়ে এ মামলার বাদী থানায় অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের তালুক কানুয়া গ্রামের মৃত আঃ করিমের পুত্র ও জামায়াত নেতা আব্দুল মতিনের সাথে একই গ্রামের মৃত বয়েজ উদ্দিনের পুত্র সামসুল হক ও তার শশুরের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। ইতোপূর্বে আদালতে জমি সংক্রান্ত মামলার রায়ে কমিশনের মাধ্যমে তিন পক্ষকে ৩ একর ৩ শতক জমি বুজিয়ে দেয়া হয়েছিল। তবে প্রভাবশালী জামায়াত নেতা আব্দুল মতিন আদালতের রায় উপেক্ষা করে তার প্রাপ্ত ১০৯শতক জমি ছাড়াও শামসুল হকের শশুর মৃত বক্তার হোসেনের জমি দখলে মরিয়া হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে গত ১৯জানুয়ারী ভোরে আব্দুল মতিন গং দেশিয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শামসুল হকের শ্বশুরের ঘরবাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর,লুটপাট,শতাধিক সুপারী ও আম গাছ কর্তন এবং শামসুল ও তার শশুর বাড়ির লোকদের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

ওই দিন খবর পেয়ে রাজারহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ২০ জানুয়ারি শামসুল হক ৩০জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞতনামা সহ ৩০/৩৫জনের বিরুদ্ধে রাজারহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তবে মামলা হওয়ার পর ২২জানুয়ারী জামিনে বেড়িয়ে আসেন সকল আসামী। এরপর থেকে উক্ত আসামীরা বাদী ও তার পরিবারকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করছে।

মামলার বাদী শামসুল হক অভিযোগ করেন,মামলা হওয়ার পর থেকে আসামীরা আমাকে এবং আমার পরিবার ও শশুর বাড়ির লোকদের বিভিন্ন হুমকি প্রদর্শন করছে। এ কারণে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন স্বাভাবিক চলাফেরা ও কাজকর্ম ফেলে তাদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এবিষয়ে তিনি পূনঃরায় নিরাপত্তা চেয়ে ২৪ জানুয়ারি থানায় একটি অভিযোগ করেছেন বলে জানান।

রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লা হিল জামান অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি অভিযোগটি তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 
Electronic Paper