ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সোনারায় হাইস্কুলে বিতর্কিত কর্মচারী নিয়োগে তড়িঘড়ি

ডোমার প্রতিনিধি
🕐 ৮:৩২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২

সোনারায় হাইস্কুলে বিতর্কিত কর্মচারী নিয়োগে তড়িঘড়ি

নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয়ের বিতর্কিত কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের যোগদানের জন্য নিয়োগপত্র প্রদানে কমিটির রিরুদ্ধে তড়িঘড়ি করার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নিয়োগের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধায় নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫টি কর্মচারী পদে পরীক্ষা পাশ্ববর্তি উপজেলা ডিমলায় গোপনে অনুষ্ঠিত হয়।

গোপনে পরীক্ষার বিষয়টি জানতে পেরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্বেই পরীক্ষা বাতিলের জন্য ডোমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে আবেদন করেন ৫ জন আবেদনকারী। আবেদনকারীদের অভিযোগ উপেক্ষা করে উক্ত পরীক্ষা সম্পন্ন করেন নিয়োগ কমিটি। জানাযায়, ৫টি কর্মচারী পদের জন্য কমিটির সভাপতি ফিরোজ চৌধুরী ও প্রধান শিক্ষক রমনী কান্তের নের্তৃত্বে পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকার উপরে নিয়োগ কমিটি বানিজ্য করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। একেক পদের জন্য একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকেও টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ওই কমিটি।

যে প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা বেশি নেওয়া হয়েছে তাকে চুড়ান্ত করে ড্যামি পরীক্ষা আয়োজন করে। ৫টি পদে যে সকল প্রার্থী আবেদন করে তাদের অধিকাংশ প্রার্থীদের না জানিয়ে গুটি কয়েক পরীক্ষার্থীদের মোবাইলে ডেকে চুপিসারে পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। যে পরীক্ষায় মানা হয় নি কোন সরকারি বিধি নিষেধ। পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য ছিলো না প্রবেশ পত্র। দিনের পরীক্ষা সন্ধ্যায় নেওয়াসহ একজনের পরীক্ষা অন্যজন দেয়ারও অভিযোগ করেছে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা একাধিক প্রার্থী। চুড়ান্ত প্রার্থীকে পরীক্ষার তিন ঘন্টা পুর্বেই উত্তরপত্র দেয়ার অভিযোগ আছে।

বিষয়ে নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে কমিটি তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দিতে তড়িঘড়ি করে।

পরীক্ষার্থীর অভিবাকদের কাছ থেকে জানাযায়, আয়া পদে তিনজন পরীক্ষার্থীর কাছে টাকা নিয়ে সর্বোচ্চ টাকা প্রদান কারী ইয়াসমিন ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে চুড়ান্ত হন। অন্যদিকে অপর দুই প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস ৮ লাখ ও লুৎফন নাহার বন্নী ১২ লাখ টাকা দিয়ে ব্যার্থ হয়ে অসুস্থ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

অন্যদিকে অফিস সহকরী পদে আবু রায়হান রাজুর কাছে ১২ লাখ টাকা নিয়েও অপর প্রার্থী মুনকার নাইনকে ১৬ লাখ টাকার বিনিময়ে চুড়ান্ত করেন। পরীচ্ছন্নকর্মী মিতু রানী নিয়োগ পান ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে, কম্পিউটার ল্যাব হিসেবে নিয়োগ পান প্রধান শিক্ষকের ভাই সম্পর্ক নিরঞ্জন রায় অফিস সহায়ক আল অমিন হেসেন নিয়োগ পান ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে। 

ভুক্তভুগি একজন বলেন, এসব বিষয়ে সংবদ প্রচার হওয়ার পর কমিটি তাদের রেজিষ্টার্ড খাতা , রেজুলেশন খাতাসহ যাবতীয় তথ্যাদি পরিবর্তন করে নিয়োগপত্র প্রদান করেন। তড়িঘড়ি করে নিয়োগের বিষয়ে জানতে সভাপতি ফিরোজ চৌধুরী ও প্রধান শিক্ষক রমনী কান্তকে ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেন নি।

এ বিষয়ে ডোমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার রমিজ আলম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি তেমন কিছু বলতে চাই না । উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলতে বলেন।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাকেরিনা বেগম বলেন, নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি আমি জানতাম না। প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি অবগত করেছেন।

তিনি জানান, বেসরকারি স্কুলে নিয়োগের ক্ষেত্রে কমিটির প্রাধান্যই বেশি হয়ে থাকে। নিয়োগের কাগজপত্র সঠিক আছে কি না সঠিক থাকলে আমরা অনুমতি দিয়ে থাকি। আর পরীক্ষা বা নিয়োগের ক্ষেত্রে কমিটি , ডিজির প্রতিনিধি থাকেন এখানে আমাদের একক কিছু করার থাকে না। 

 

 
Electronic Paper