পিতৃত্বের অধিকারের দাবি সন্তানের!
সুজন মাহমুদ, রাজীবপুর (কুড়িগ্রাম)
🕐 ৭:১৭ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২২

কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে পিতার অধিকার পাওয়ার দাবিতে চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ সমাজের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে রানা মিয়া নামের এক যুবক। কোথাও কোনো বিচার না পেয়ে অসহায় ওই যুবক তার মাকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হয়।পিতৃত্বের অধিকার আদায় করে দেয়ার জন্য লিখিত আবেদন জানায় রানা মিয়া।
অভিযোগে জানা গেছে, রানা মিয়া নামের ওই যুবকের মা কদভানু বেগম। তাদের বাড়ী উপজলার কাচারী পাড়া গ্রামে। গত ১৯৮৪ সালের ১০ অক্টোবর তারিখে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক কদভানু বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয় একই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে। কদভানু ছিল আনোয়ার হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী। বিয়ের পর তাদের ঘরে রানা মিয়া নামের ওই সন্তানের জন্ম হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালের ১২ ডিসেম্বর আনোয়ার হাসেন মৃত্যু বরণ করেন। আনোয়ার হোসেন সহায় সম্পত্তির ভাগ সঠিক ভাবে বটন না করে দ্বিতীয় স্ত্রী ২৪ শতাংশ জমি প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মৃত্যু আনায়ার হোসেন ছিলেন একজন মুক্তিযাদ্ধা। সরকার মুক্তিযোদ্ধার নতুন তালিকার প্রকাশিত গেজেটে আনোয়ার হোসেন’র নাম রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে বাঁচতে চায় রানা মিয়া।এমন কি তার বাবার প্রথম স্ত্রী ও সন্তান তাকে বঞ্চিত করে আসছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে সরকারি সাহায্য সহযোগিতার ভাগ দেওয়া হচ্ছে না রানা মিয়াকে।
কদভানু বেগম সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি আনোয়ার হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী। তার ঔরসজাত আমার গর্ভ জন্ম নেয় রানা মিয়া।’ রানা মিয়া বলেন, আমাকে এবং আমার মা’কে সব কিছু থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার বা ন্যায্য অধিকার আদায় করে দেওয়ার জন্য আপনাদের কাছে আবেদন করছি।
রাজীবপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিরন মো. ইলিয়াস বলেন, রানা মিয়া মত আনোয়ার হোসেনের বধ ওয়ারীশ। আমি সব হিসেব প্রতিবেদন দিয়েছি।
উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত চক্রবর্তি জানান, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
