রাজীবপুরে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি
সুজন মাহমুদ, রাজীবপুর (কুড়িগ্রাম)
🕐 ১:১৯ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০২২
কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়ছে। ব্রহ্মপুত্র নদে চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। রাজীবপুর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরেউ পানি ঢুকে পরেছে। উপজেলা খাদ্য গুদাম চত্ত্বরে বন্যার পানি যে কোনো মুহুর্তে ঢুকতে পারে-এমন আশংকা করা হচ্ছে। এই দু’উপজেলায় কমপক্ষে এক লাখ মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দু’উপজেলার ৯ ইউনিয়নের ৮০ ভাগ এলাকা বন্যা কবলিত হয়েছে। বন্যা দুর্গতদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। চরম দুর্ভোগের মধ্যে গবাদিপশু নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বন্যা কবলিত চরের কৃষকরা। কোদালকাটি ইউনিয়নের শংকর মাধবপুর বিলপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘তিনদিন থিকা ঘরের মধ্যে পানি। রান্না করার কোনো জো নেই। ঘরের মধ্যে মাচা বানিয়ে বউ বাচ্চা নিয়া খেয়ে না খেয়ে আছি। এহনও কেউ দেখবার আইল না। কোনো ত্রাণও পাইনি আমরা।
রাজীবপুরের নুরফকিরের চরের রোকেয়া বেগম বলেন, ‘তিনদিন ঘরের মাচার ওপর ছিলাম। আইজ পানি মাচায় ওঠে। পরে ঘরছাইরা দিয়া পশ্চিম রাজীবপুরের সালামের বাড়িতে গিয়া উঠছি। আমগর চরে কেউ ত্রাণ নিয়া আইসে নাই। ওই একই চরের জামাল উদ্দিন নামের এক দিনমজুর বলেন, ‘আমগর ঘরেও বন্যার পানি। কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাই নাই।
কোদালকাটি ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ছক্কু ও মোহনগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, আমাদের এলাকার ৯০ ভাগ বন্যা কবলিত। যে পরিমান ত্রাণ দিয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। তারা আরো ত্রাণের দাবি জানান। ওই উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন
অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রৌমারীতে ২০ হাজার পরিবারের ৬০ হাজার এবং রাজীবপুর উপজেলার ৭ হাজার পরিবারের ২০ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে। এসংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে। সোমবার পর্যন্ত রৌমারী উপজেলার ৬ ইউনিয়নে ৪০ টন চাল ও এক হাজার পাঁচশত’ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। রাজীবপুর উপজেলার ৩ ইউনিয়নে ১২ টন চাল সঙ্গে ৭০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।