ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

২২ বছরেও নির্মিত হয়নি সেতু

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
🕐 ৬:২৬ অপরাহ্ণ, জুন ১১, ২০২২

২২ বছরেও নির্মিত হয়নি সেতু

একটি ব্রীজের অভাবে দুর্ভোগের ২২ বছর পার করছে নাগেশ^রী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের ফুলকুমর নদ তীরবর্তী রাঙ্গালীবস আবাসনসহ আশেপাশের আরো ৫ গ্রামের মানুষ। নদ পাড়াপাড়ে নরবড়ে বাঁশের সাঁকো তাদের ভরসা।

রায়গঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য উমা চরণ জানান, রায়গঞ্জ বাজার থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দুরে এই ইউনিয়নের একটি জন ঘনবসতিপুর্ণ গ্রাম রাঙ্গালীবস। এর পাশে ফুলকুমর নদের তীরে অবস্থিত আশ্রয়ন প্রকল্পে প্রায় ৩শত অসহায় শ্রমজীবি মানুষের বসবাস। নদ পাড়ি দিয়ে তাদের বেশিরভাগই কাজ করে পাশ্ববর্তী ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের বিভিন্ন মিল-চতালে।

রাঙ্গালীবস গ্রাম ও আবাসনের শিশুরা পড়ালেখা করে আন্ধারীঝাড় প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায়। আগে বর্ষায় নদ পানিপুর্ণ হলে বন্ধ হয়ে যেত তাদের কর্মজীবিদের কর্ম ও শিশুদের পড়ালেখা। তাই ২২ বছর আগে গ্রামবাসী ও আবাসনের বাসিন্দারা মিলে সেখানে নির্মাণ করে একটি বাঁশের সাঁকো। পরে এর কারনে চরধাউরারকুটি-রাঙ্গালীবস পথ বিকল্প ও শর্টকার্ট রাস্তা হিসেবে পরিচিতি পায় রাঙ্গালীবস, আবাসনসহ পাশর্^বর্তী রতনপুর, বোর্ডেরবাজার, সাপখাওয়া, গাডিরখামার, সোনাইরখামার গ্রামের মানুষের কাছে।

স্থানীয় আলতাফ হোসেন, নজরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ, আ. রশিদ, আব্বাস আলীসহ অনেকেই জানান, বিভিন্ন প্রয়োজনে এ সাঁকো পাড়ি দেয় দৈনিক প্রায় ২ সহস্রাধিক মানুষ। প্রতিবছর অধিক সংখ্যক মানুষের চলাচলে নড়বড়ে হয়ে যায় সাঁকো। ভেঙ্গে যায় চাটাই, দেবে যায় খুটি। তারপরেও অব্যাহত থাকে মানুষের চলাচল। তাই প্রত্যেক বছর বর্ষার শুরুতে আগের সাঁকো ভেঙ্গে একই জায়গায় নতুন করে সাঁকো দিতে হয়। ফের তা নড়বড়ে হয়ে যায়। এভাবেই চলে আসছে প্রথমবার সাঁকো তৈরি থেকে এ পর্যন্ত।

এবারেও সাঁকোটির অবস্থা নাজুক। সরে গেছে সংযোগস্থলের মাটি, কয়েকটি জায়গায় খুটি দেবে গিয়ে উচু-নিচু গেছে সাঁকো। বিছানো চাটাই ভেঙ্গে গেছে অনেক জায়গায়। সেখানে পথচারিদের পা ঢুকে রক্তাক্ত জখম হয়। একটু অসাবধানতায় অনেকে পড়ে যায় পানিতে। এর থেকে পরিত্রাণে সেখানে একটি স্থায়ী ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন তারা।

রায়গঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান মন্ডল দ্বীপ জানান, এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ জরুরী। আমি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মহোদয়ের সাথে কথা বলে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।

উপজেলা এল.জি.ইডি প্রকৌশলী ওয়াসিম আতাহার জানান, আমি চেষ্টা করছি যাতে দ্রুত সেখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা যায়। এ জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই করে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।

 
Electronic Paper