ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কৃষকদের মাঝে সার-বীজ পৌঁছে দিল নবজাগরণ ফাউন্ডেশন

রাবি প্রতিনিধি
🕐 ৪:৫২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১

কৃষকদের মাঝে সার-বীজ পৌঁছে দিল নবজাগরণ ফাউন্ডেশন

রাস্তার বিভাজনে বিভাজিত গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার দুটি গ্রামে কৃষি উপকরণ হিসেবে সার ও বীজ পৌঁছে দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নবজাগরণ ফাউন্ডেশন।

বৃহস্পতিবার কৃষি পন্য বিতরণের তৃতীয় পর্ব হিসেবে সুন্দর গঞ্জ, গাইবান্ধা ও খামার বজরা, উলিপুর এবং কুড়িগ্রামের কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ করে সংগঠনটি।

'কৃষিতে হাসবে দেশ, গড়বো সোনার বাংলাদেশ' প্রতিপাদ্যে আয়োজিত 'টেকসই কৃষি প্রকল্প ২০২১' আয়োজনে সে এলাকার ৪০ জন কৃষকের মাঝে ৪ কেজি করে সার ও বীজ বিতরণ করে সংগঠনটি।

জানতে চাইলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প ২০২১'র আহবায়ক মনিরুজ্জামান বলেন, 'নবজাগরণ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং স্থানীয় সংগঠন 'জ্ঞান বিকাশ ফাউন্ডেশন' ও জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার ফলেই মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের মাঝে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ বিতরণ করা সহজসাধ্য হয়েছে। আমি সকলের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।'

ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের বিষয়ে তিনি বলেন, কৃষি এ দেশের অর্থনীতির এক অতি গুরুত্বপূর্ণ খাত। বর্তমানে দেশে জিডিপির প্রায় এক-পঞ্চমাংশ অর্জিত হয় কৃষি খাত থেকে। তার চেয়েও বড় কথা কৃষি এ দেশের জনমানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা প্রদানের প্রধানতম এবং অন্যতম উৎস। কিন্তু সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বেড়ে চলেছে নতুন নতুন কৃষি উপকরণের আবিষ্কার, যা গ্রাম পর্যায়ের কৃষকদের জন্য মোটেও সহজলভ্য নয়।

এসব নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি পন্যের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়ে চলেছে হতদরিদ্র কৃষকদের দূর্দশা। তাই হতদরিদ্র কৃষকদের জীবন সংগ্রামে টিকে থাকার লড়াইকে সহজ করার জন্য নবজাগরণ ফাউন্ডেশনের এই ব্যাতিক্রম ধর্মী উদ্দ্যোগ নেওয়া।

জানতে চাইলে উলিপুর গ্রামের কৃষকেরা বলেন, এই দূর্রদশার সময়ে আমদের পাশে নবজাগরণ ফাউন্ডেশন এর এমন উদার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় আমরা চিরকৃতজ্ঞ।

নবজাগরণ ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক শামীমা আফরোজ বলেন, 'এই আয়োজনের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে তাঁদের প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। আমরা আশা করছি এর মাধ্যমে কিছুটা হলেও কৃষকদের কষ্ট লাঘব করা সম্ভব হবে।'

সংগঠনটির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বলেন, 'কৃষিই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি। অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চাবিকাঠিও বটে। ফলে কৃষির সার্বিক উন্নতি মানেই দেশের উন্নতি। তাই কৃষকদের মাঝে উপকরণগুলো পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে কৃষকদের কৃষি সম্প্রসারণ কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে বলে আশা রাখছি। ভবিষ্যতে কৃষকদের জন্য আমাদের আরো বড় ধরনের পরিকল্পনা চলছে।'

তিনি জানান, কৃষকদের মুখে হাসি ফুটানোর এ আয়োজনে পর্যায়ক্রমে যুক্ত হয়েছে দেশের ৩টি জেলার অন্তর্ভুক্ত ৭টি উপজেলার প্রান্তিক কৃষকসমাজ।

 
Electronic Paper