ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আশ্রয়ণ প্রকল্পে শিশুপার্ক নির্মাণ

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ)
🕐 ৬:৩১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১

আশ্রয়ণ প্রকল্পে শিশুপার্ক নির্মাণ

নওগাঁর আত্রাইয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার স্বপ্ননীড়ের পাশাপাশি বসবাসরত শিশুদের স্বাস্থ্য নিশ্চিত ও তাদের বিনোদনের জন্য দৃষ্টিনন্দন শিশুপার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে নির্মল বাতাস আহরণের জন্য আশ্রয়ণ কেন্দ্রের চারিধারে ফলজ ও বনজ বৃক্ষরোপণ করে সবুজ বেষ্টনি তৈরি করা হয়েছে।

এদিকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার বসবাসের সুশৃঙ্খল পরিবেশের পাশাপাশি তাদের শিশুদের বিনোদনের জন্য দৃষ্টিনন্দন শিশুপার্ক নির্মাণ করায় খুশি স্থানীয় জনসাধারণ ও শিশু কিশোররা। এছাড়া আশ্রয়ণ কেন্দ্রে বসবাসরত সকলকে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আত্রাই উপজেলায় দুই ধাপে পাঁচ স্থানে ১৮৫টি বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মিতব্য বাড়িগুলো প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর সুফলভোগীদের মাঝে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। বাড়ি পেয়ে সেখানে মনের আনন্দে বসবাস করছেন উপজেলার ভূমি ও গৃহহীন পরিবারগুলো।

বর্তমান বছরে ইউএনও ইকতেখারুল ইসলামের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে রসুলপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে শিশুদের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে শিশুপার্ক নির্মাণ করেন। একইসঙ্গে রাস্তার দুইধার ও আশ্রয়ণ কেন্দ্রের চারিধারে পাঁচশ ফলজ ও বনজ বৃক্ষরোপণ করেন।

অপরদিকে মধুগুড়নই আশ্রয়ণ কেন্দ্রে নদীর ধারে গাইড ওয়াল তৈরি করে তাতে মাটি ভরাট দিয়ে সেখানেও শিশুদের বিনোদন দিতে দোলনা এবং নদীর নির্মল বাতাস আহরণের জন্য স্থায়ী বসার জায়গা নির্মাণ করেন। এই কেন্দ্রেরও চারিধারে পাঁচশ ফলজ ও বনজ বৃক্ষ লাগিয়ে সেখানে সবুজ বেষ্টনি তৈরি করা হয়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, আত্রাই-নওগাঁ আঞ্চলিক সড়কের রসুলপুর নামক স্থানে ১নং খতিয়ানভুক্ত দুই দশমিক নব্বই একর উঁচু জমিতে দুই ধাপে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৭৩টি বাড়ি নির্মাণ করা রয়েছে। তাতে আনুমানিক তিনশ’ মানুষ মনের আনন্দে স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করছেন। কেন্দ্রের পাশের্^ মাদ্রাসা, মসজিদ, কমিউনিটি ক্লিনিক, খোলা মাঠ রয়েছে। আশ্রয়ণ কেন্দ্রের রাস্তায় ও চারিধারে পাঁচশ ফলজ ও বনজ বৃক্ষরোপণ করা রয়েছে। সেখানের শিশুপার্কে শিশুদের বসার জায়গা, দোল খাওয়ার দোলনা, স্লিপার, গোল চত্বর এবং ফুলের বাগান রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রের প্রবেশদ্বারে প্রকল্প সম্পর্কিত বিলবোর্ড দেওয়া আছে।

অপরদিকে আত্রাই গোড় নদীর বুক চিরে গড়ে ওঠা মধুগুড়নই গ্রাম সংলগ্ন ১নং খতিয়ানভুক্ত তিন দশমিক বিশ একর উঁচু জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৮৪টি বাড়ি নির্মাণ করা রয়েছে। তাতে আনুমানিক সাড়ে তিনশ’ মানুষ মনের আনন্দে বসবাস করছেন। কেন্দ্রের পাশের্^ মসজিদ, নদীর খোলা নির্মল হাওয়া গায়ে লাগানোর ব্যবস্থা আছে। আশ্রয়ণ কেন্দ্রের রাস্তায় ও চারিধারে পাঁচশ ফলজ ও বনজ বৃক্ষরোপণ করা রয়েছে।

ইউএনও ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী উপজেলার পাঁচ স্থানে একশ পঁচাশি বাড়ি নির্মাণ করে সুফলভোগী মানুষের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিশুদের স্বাস্থ্য নিশ্চিত ও নির্মল বাতাস আহরণের জন্য রসুলপুর ও মধুগুড়নই আশ্রয়ণ কেন্দ্রে শিশুপার্ক এবং এক হাজার ফলজ ও বনজ বৃক্ষরোপণ করে প্রকল্প সম্পর্কিত বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।

আশ্রয়ণ কেন্দ্রের সব মানুষকে সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে গৃহ ও ভূমিহীন সব মানুষকে এই সুবিধার আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

 

 

 
Electronic Paper