নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটি বাতিলের দাবি
নাটোর প্রতিনিধি
🕐 ৩:০২ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০২১
কেন্দ্র ঘোষিত নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটি প্রত্যাখ্যান করে তা বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিলুপ্ত আহবায়ক কমিটি। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের কান্দিভিটুয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আহম্মেদ সেলিম।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, তারা জেনেছেন গত ১৪ জুলাই কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতৃবৃন্দের স্বাক্ষরিত জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি কমিটি বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়েছে; যা গঠনতন্ত্র বিরোধী, অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ। এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য হলো ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সম্মেলনের মাধ্যমে নাটোরের সকল উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। বর্তমান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কমিটি বেশ কয়েকবার জেলা সম্মেলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করে তারিখও নির্ধারণ করে। পরবর্তীতে স্থানীয় ও জাতীয় প্রেক্ষাপটের কারণে সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি। সেখানে আহবায়ক কমিটির ইচ্ছার কোনো ঘাটতি ছিল না। ২০১৪ সালে শফিকুল ইসলাম শিমুল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করার পর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগকে সাথে নিয়ে বাংলা ভাইয়ের গডফাদার হিসেবে পরিচিত রুহুল কুদ্দুস তালুকদারকে প্রতিহত করেন। সে কারণে অনেকের চক্ষুশুল হয়ে পড়েছেন। যারা বিগত ১০/১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের মিটিং ও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেনি এবং যাদের পারিবরিক ইতিহাস মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে তাদেরকে সাথে নিয়ে রুহুল কুদ্দুস দুলুকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে দলের কিছু নেতা একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তথাকথিত এসব নেতারাই সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলকে বিতর্কিত করতে দুলুর অর্থে এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ছত্রছায়ায় ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছে। এইসব বিশ্বাসঘাতক নেতারাই তাদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে দুলুর সহায়তায় বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতাদের ভুল বুঝিয়ে কোনো কিছুর বিনিময়ে অবৈধভাবে বিতর্কিত জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের তথাকথিত ভঙ্গুর একটি কমিটি অনুমোদন করিয়ে নেয়। যা বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের গঠনতন্ত্রের ১৫ (ক) ধারার পরিপন্থী ও অবৈধ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, ওই কমিটির সভাপতি একজন কুখ্যাত রাজাকারের সন্তান ও সাধারণ সম্পাদক একজন মাদক সম্রাটের ভাই। অপর দিকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান বীর মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবন্ধুর সময়ের পার্লামেন্টারিয়ান মরহুম রফিক উদ্দিন সরকারের ছেলে। যারা বছরের পর বছর জামাত বিএনপি’র জোট সকোরের অত্যাচার সহ্য করেছে সে সমস্ত ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি একটি পকেট কমিটি গঠন করেছে যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তারা এই অবৈধ কমিটি বাতিল করে সাংবিধানিকভাবে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান।
দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনের পাশাপাশি তথাকথিত অবৈধ কমিটিকে প্রতিহত করা হবে বলে তারা হুঁশিয়ারি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক দিলীপ কুমার দাস, জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাশিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া, ছাত্রলীগ নেতা মোস্তারুল ইসলাম আলম, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বুলবুল আহমেদসহ নেতৃবৃন্দ।