ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সাঁথিয়ায় অভয়াশ্রমে রক্ষা করা যাচ্ছে না মা মাছ

মনসুর আলম খোকন, সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
🕐 ৭:১৯ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২১

সাঁথিয়ায় অভয়াশ্রমে রক্ষা করা যাচ্ছে না মা মাছ

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ঘুঘুদহ বিলে সরকারি অভয়াশ্রম থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে না মা মাছ। অভিযোগের পরেও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় উৎসাহ নিয়ে মাছ ধরছে রঘুরামপুর মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যরা।

জানা যায়, উপজেলার ঘুঘুদহ বিলে মাছের অভাবরোধে ও মৎস্যবৃদ্ধিরও লক্ষ্যে সরকারিভাবে একটি মাছের অভয়াশ্রম করা হয়। এ অভয়শ্রমের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয় ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের রঘুরামপুর মৎস্যজীবী সমিতিকে। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাতে অভয়শ্রমের মুখ কেটে চায়না জাল ব্যবহার করে ডিমওলা মা মাছ নিধন করছে সমিতির সভাপতি ফরিদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি চক্র। বৃহস্পতিবার রাতে প্রচুর মাছ ধরে কাশিনাথপুর ও বেড়া বাজারে প্রায় অর্ধলাখ টাকার মাছ বিক্রয় করে।

ঘুঘুদহ বিলপাড় থেকে রঘুরামপুর গ্রামের মৃত আজাহারের ছেলে ভ্যানচালক আজিজুল সরদার বলেন, মাছসহ ফরিদ, সোবাহান ও শাহাদকে আমি কাশিনাথপুর নিয়ে যাই।

এলাকাবাসীর দাবি, প্রতি বছরই ফরিদের নেতৃত্বে অভয়শ্রম থেকে চুরি করে মাছ ধরা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সরকারি প্রকল্পের মাছ চুরি হতো না।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাকিবুল হাসান জানান, রাতে মাছ ধরতে লোকজন গিয়েছিল। পরে গৌড়ীগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সহায়তায় তা বন্ধ করা হয়। তবে সকালে অভয়াশ্রম পরিদর্শনে গেলে দেখা যায়, রঘুরামপুরের আহেদ আলীর ছেলে আলতাব চায়না জাল পেতে মা মাছ ধরছে। সে বলে, রাত ১২টা পর্যন্ত গৌড়ীগ্রামের লোকজন মাছ ধরেছে। তার পরে আমরা ফরিদের নির্দেশে মাছ ধরেছি।

রঘুরামপুর গ্রামের লালু জানান, রাত ১১টার দিকে গিয়ে দেখি রঘুরামপুর মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যরা জাল দিয়ে অভয়াশ্রম থেকে মাছ ধরছে। রঘুরামপুর মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ফরিদ হোসেনের সাথে যােগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার সহযোগী সোবাহান জানান, অল্প কিছু মাছ তারা ধরেছে। অন্যরা বাধা দিলে তারা চলে আসে।

এ বিষয়ে বুধবার দুপুরে এ প্রতিনিধি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করলে তিনি বিষয়টি দেখছেন বলে জানান।

 
Electronic Paper