লিচু বাজারজাতকরণে মধ্যস্বত্বভোগীদের স্থান নেই: এসপি লিটন
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
🕐 ৮:০৪ অপরাহ্ণ, মে ১৬, ২০২১
নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা বলেছেন, লিচু বাজারজাতকরণে মধ্যস্বত্বভোগীদের কোনো স্থান নেই। বিভিন্ন বিষয়ে তিনি যেসব অভিযোগ পেয়েছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। কোনো রকম অতিরিক্ত টোল আদায়, চাঁদাবাজি কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। তিনি আরও বলেন, চাষিরা যেন সুষ্ঠুভাবে লিচু বাজারজাত করতে পারেন এবং ন্যায্যমূল্য পান তার জন্য সহায়তা প্রদান করা হবে।
নাটোরের গুরুদাসপুরে লিচু উৎপাদন, আহরণ এবং সুষ্ঠুভাবে বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে লিচু চাষি, ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের সাথে পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে দিকে গুরুদাসপুর থানা পুলিশের আয়োজনে উপজেলার বেড় গঙ্গারামপুর এলাকার একটি লিচু বাগানে ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে ওই মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন নাটোর জেলার পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, পিপিএম (বার)। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বেড় গঙ্গারামপুর লিচু আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন।
সভায় উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লিচু চাষি ও ব্যবসায়ীরা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। লিচু চাষিরা বলেন, আড়তে সিন্ডিকেট থাকায় আড়তদারদের মাধ্যমে তাদের লিচু বিক্রি করতে হয়। তাই তাদের খাজনার পরিমাণ বেশি দিতে হয়। খাজনা দিতে অনীহা প্রকাশ করলে তাদের লিচু এই বাজারে বিক্রি হয় না বলে মত প্রকাশ করেন। তারা এই সিন্ডিকেট ভাঙতে প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানান।
এদিকে আড়তে বিভিন্ন জেলা শহর থেকে লিচু ক্রয় করতে আসা পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলেন, এই আড়তে মাধ্যমে আমরা সহজেই লিচু ক্রয় করতে পারি। এখানে খাজনার পরিমাণ অন্যান্য জেলা শহর থেকে অনেক কম। আমাদের অসুবিধা হয় না।
আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি সাখায়াত হোসেন আড়তে সিন্ডিকেটের বিষয়টি অস্বীকার করলেও খাজনার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আড়তে লিচু বিক্রি করতে আসা চাষিদের নিকট হতে যে পরিমাণ খাজনা নেওয়া হয়, সেই খাজনার টাকা সমবণ্টনের মাধ্যমে এখানকার মসজিদ, লিচু আড়তে কাজ করা শ্রমিক, আড়ত জায়গার মালিক ও আড়ত মালিকদের মধ্যে ভাগভাগি করে দেওয়া হয়। আর এই নিয়ম অনেক বছর ধরে চলে আসছে।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের বাইরে আমি নই।