ভাঙ্গুড়ায় চলছে কৃষি জমিতে পুকুর খনন
মো. মানিক হোসেন, ভাঙ্গুড়া (পাবনা)
🕐 ৫:১৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০২১
সরকারি নির্দেশ থাকলেও ভাঙ্গুড়ায় কিছুতেই থামছে না ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন। এতে করে উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষি জমির পরিমাণ। খননকৃত জমির মালিকের দাবি, ধানের চেয়ে পুকুরে মাছ চাষে অধিক লাভ এবং অতিরিক্ত মাটির দাম পাওয়ায় পুকুর খনন করছেন তারা। এতে একের পর এক কৃষি জমিতে পুকুর খনন হচ্ছে এখানে।
শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের জগনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম লামকান মৌজায় তার প্রায় সাত বিঘা ফসলি জমিতে ২৫/৩০ জন দিনমুজুর দিয়ে মাটি কেটে পুকুর খনন করছেন। সেখানে মাটি বহন করছে ৮-১০টি ইঞ্জিনচালিত টলিগাড়ি। মাটি বহনকৃত গাড়িগুলো হানিফ বাবলুর (ই.ঊ.খ) ইট ভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে মাটিগুলো বিক্রি করছে। প্রতি গাড়ি মাটি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫শত টাকা দরে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে নদী-নালা খাল-বিল বাদে প্রায় ১০ হাজার ৭৮০ হেক্টর ফসলি জমি রয়েছে।
পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাটি বহনকারী গাড়ির দাপটে প্রধান প্রধান রাস্তাসহ জনচলাচলের অন্যান্য রাস্তাগুলোর চরম ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। ফলে রাস্তার ধুলাবালিতে পথচলাচলকারী জনসাধারণের বেড়েছে শ্বাসকষ্ট।
ফসলি জমিতে পুকুর খননের অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে পুকুর খননকারী আব্দুর রহিম বলেন, লিখিত কোনো অনুমতি দেয়নি। তবে উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েই পুকুর খনন করছি।
ভাটা মালিক হানিফ বাবলু বলেন, মাটি কাটার সরদারের কাছ থেকে হাজার হিসাবে মাটি কিনেছি। তিনি আরও বলেন, সরদার কোথায় থেকে মাটি এনে দিচ্ছে সেটা আমার দেখার বিষয় নয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত নন। তবে এসিল্যান্ডকে ব্যবস্থা নিতে বলবেন। কোনোভাবেই ফসলি জমিতে পুকুর খননের অনুমতি ইউএনও দিতে পারে না বলেও জানান তিনি।