ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ফসলি জমিতে পুকুর খনন

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
🕐 ৫:৪০ অপরাহ্ণ, মার্চ ০৩, ২০২১

ফসলি জমিতে পুকুর খনন

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সরকারি অনুমতি ছাড়াই চলছে ফসলি জমিতে এস্কেভেটর (ভেকু) দিয়ে পুকুর খননের মহাৎসব। ফলে চারপাশের অনেক কৃষকের বিস্তীর্ণ ফসলি জমির দীর্ঘমেয়াদি ফসল উৎপাদনের মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

এদিকে সরকারি বিধিমোতাবেক, কৃষি জমিতে পুকুর খনন করা যাবে না। ক্ষেত্র বিশেষে পুকুর খননের প্রয়োজনীয়তা থাকলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে পুকুর খনন করা যাবে। কিন্তু ভাঙ্গুড়া উপজেলায় এসবের কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের কঠোবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা তাইজুল ইসলাম পরমান্দপুর মৌজায় তার প্রায় দুই বিঘা ফসলি জমিতে এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে মাটি কেটে করছেন পুকুর খনন। সেখানে মাটি বহন করছে ৮-১০টি ট্রাক্টর গাড়ি। গাড়িগুলো আশে পাশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে এসব মাটি বিক্রি করছে। প্রতি গাড়ি মাটি সাড়ে পাঁচশ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে নদী-নালা খাল-বিল বাদে প্রায় ১০ হাজার ৭৮০ হেক্টর ফসলি জমি রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পুকুর কাটার সঙ্গে সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন এলাকা থেকে এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন ভাড়ায় এনে জমির মালিকদের সঙ্গে চুক্তি ভিত্তিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুকুর কেটে চলছেন এবং পুকুর খননের জন্য প্রশাসনিক কোন অনুমতি নেই।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাটি বহনকারি গাড়ির দাপটে প্রধান প্রধান রাস্তাসহ জনচলাচলের অন্যান্য রাস্তাগুলোর চরম ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। ফলে রাস্তার ধুলাবালিতে পথচলাচলকারি জনসাধারণের বেড়েছে শ্বাসকষ্ট।

তবে পুকুর খননকারী তাইজুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ইউএনও সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, ইতিপূর্বেও কয়েকটি ফসলি জমিতে মাটি কাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে পুকুর খনন বন্ধে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।

 

 

 
Electronic Paper