ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভাঙ্গুড়ায় কৃষি জমিতে পুকুর খননের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৫:৫৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ০১, ২০২১

ভাঙ্গুড়ায় কৃষি জমিতে পুকুর খননের অভিযোগ

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় অনুমতি ছাড়াই ফসলি জমিতে এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে পুকুর খননের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে চারপাশের বিস্তীর্ণ আবাদি জমির দীর্ঘমেয়াদী ফসল উৎপাদনের মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। সরকারি বিধি অনুযায়ী কৃষি জমিতে পুকুর খনন করা যাবে না। ক্ষেত্রবিশেষে পুকুর খননের প্রয়োজন পড়লে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে পুকুর খনন করা যাবে। কিন্তু ভাঙ্গুড়া উপজেলায় এসবের কোনো কিছুর তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।

সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের কঠোবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা তাইজুল ইসলাম পরমান্দপুর মৌজায় তার প্রায় দুই বিঘা ফসলি জমিতে এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে মাটি কেটে পুকুর খনন করছেন। সেখানে মাটি বহন করছে ৮-১০টি ট্রাক্টর গাড়ি। গাড়িগুলো আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে এসব মাটি বিক্রি করছে। প্রতি গাড়ি মাটি সাড়ে ৫০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে নদী-নালা খাল-বিল বাদে প্রায় ১০ হাজার ৭৮০ হেক্টর ফসলি জমি রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পুকুর কাটার সঙ্গে সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন এলাকা থেকে এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন ভাড়ায় এনে জমির মালিকদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুকুর খনন করছেন এবং এর জন্য প্রশাসনের কোনো অনুমতি নেই।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাটি বহনকারী গাড়ির দাপটে প্রধান প্রধান রাস্তাসহ জনচলাচলের অন্যান্য রাস্তাগুলোর চরম ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। ফলে রাস্তার ধুলাবালিতে পথচারীদের বেড়েছে শ্বাসকষ্ট।

তবে পুকুর খননকারী তাইজুল ইসলামের মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, ইতিপূর্বেও কয়েকটি ফসলি জমিতে মাটি কাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে পুকুর খনন বন্ধে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।

 
Electronic Paper