আত্রাই বাঁধ উচ্ছেদে ঋণগ্রস্ত মৎস্যচাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত
সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
🕐 ১২:২৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আই-৩, এস-১৯ আত্রাই ক্যানালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ক্যানালে মাছ চাষের জন্য দেওয়া অর্ধশত বাঁধ উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মৎস্যচাষের জন্য ঋণ নেওয়া মৎস্যচাষীরা হতাশ হয়েছে। মৎস্যচাষীদের দাবী, কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই উচ্ছেদ করা হচ্ছে লীজ নেওয়া জলাশয়ের বাঁধ। তবে এ উচ্ছেদে সাধারণ মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর ব্রীজ এলাকা থেকে আই-৩, এস-১৯ আত্রাই ক্যানালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান শুরু করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত দুপুর পর্যন্ত উপজেলার রঘুরামপুব ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক বাঁধ উচ্ছেদ করে।
এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালত বুধবার মাধপুর থেকে ক্যানালের বাঁধ উচ্ছেদের কাজ শুরে করে। এতে বৈধ ও অবৈধ লাখ লাখ টাকার মাছ ভেসে যায় মৎস্যচাষীদের।
সাঁথিয়া উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের মজিদ ড্রাইভারের ছেলে বিল্লাল জানান, পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে প্রায় ৫ একর জলাশয় বৈধভাবে লীজ গ্রহণ করি। মাছ চাষের প্রয়োজনে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক সাঁথিয়া শাখা খেকে ৫ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করি। কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই আমার জলাশয় থেকে বাঁধ উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে আমার প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতিমাধন হয়েছে।
সুজানগরের দুর্গাপুর গ্রামের আসলাম জানান, ক্যানালের বাঁধ উচ্ছেদ করায় আমার প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষকি হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মাহমুদুল হাসান জানান, ক্যানালপাড়ের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধভাবে ক্যানাল দখল করে বাঁধ দিয়ে মাছচাষ করার সাধারণ মানুষ গোসল থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় কাজে পানি ব্যবহার করতে পারে না। এছাড়াও বন্যাকালীন সময়ে পানি সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়ায় জেলা আইন শৃংখলা সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাঁধ অপসারণ চলছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে কোন মৎস্যচাষীকে নতুন করে লীজ দেওয়া হয় নাই। এবং ভবিষ্যতে না দেবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে ক্যানাল থেকে বাঁধ উচ্ছেদের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে এলাকাবাসী জানান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহীন রেজা, পাউবোর সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন, উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আ: মমিন ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।