ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পোস্টারে ছেয়ে গেছে বগুড়ার ৫ পৌরসভা

তোফাজ্জল হোসেন, বগুড়া
🕐 ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২১

পোস্টারে ছেয়ে গেছে বগুড়ার ৫ পৌরসভা

আগামী ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ, ধুনট, নন্দীগ্রাম, কাহালু ও গাবতলী পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মাত্র দুদিন পর অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচন ঘিরে শেষ মুহুর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র ও কাউন্সিলর পদের প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরা। প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে পৌরসভাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মেয়র পদে ১৯ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৫৫ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৫৪ জনসহ মোট ২২৮ জন প্রার্থী। সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় থেকে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।

ওই অফিসের তথ্য মতে, শিবগঞ্জ পৌরসভায় মোট ভোটার ১৮ হাজার ৫ জন ও ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১১টি। এ পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী সাবেক মেয়র মো. মতিউর রহমান মতিন (ধানের শীষ), জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার প্রার্থী মো. সিরাজুল ইসলাম (হুক্কা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল গোফফার (নারিকেল গাছ)। এছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১ জন ও সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ধুনট পৌরসভায় মোট ভোটার রয়েছে ১১ হাজার ৭১৩ জন। ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৯টি। এখানে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন ৪ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী টি আই এম নুরুন্নবী (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী মো. আলিমুদ্দিন হারুন মন্ডল (ধানের শীষ), কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী সাহা সন্তোষ (কাস্তে) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এ জি এম বাদশাহ (জগ) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১০ জন ও সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

১৫ হাজার ৯৪৪ ভোটারের নন্দীগ্রাম পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনিছুর রহমান (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী সুশান্ত কুমার সরকার (ধানের শীষ) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল (জগ)। সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৪ জন ও সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

কাহালু পৌরসভায় ভোটার রয়েছে ১১ হাজার ১৪০ জন। ভোট কেন্দ্র করা হয়েছে ৯টি। এ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন কবিরাজ (নৌকা) এবং বিএনপির প্রার্থী মো. আব্দুল মান্নান (ধানের শীষ) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় এই দুই প্রার্থীর মধ্যেই ভোটের লড়াই হবে। তবে সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৯ জন ও সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গাবতলী পৌরসভায় এবার মেয়র পদে ভোটের মাঠে রয়েছেন ৬ জন প্রার্থী। এরমধ্যে বিএনপির প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মো. সাইফুল ইসলাম (ধানের শীষ), আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মোমিনুল হক (শিলু) (নৌকা), জাতীয় পার্টির ফজলে রাব্বী (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আইয়ুব হোসেন রাজু (জগ) এবং সাজেদুল আলম (নারিকেল গাছ) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ পৌরসভায় সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১ জন ও সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বগুড়ার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম শাহ জানান, ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ৫টি পৌরসভার সাধারণ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। মোট ৪৭টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। পাঁচ পৌরসভার সবগুলোতেই ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পৌরসভাগুলোতে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের আলাদা মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ প্রয়োজনীয় আনসার সদস্য ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকবে। তিনি বলেন পাঁচটি পৌরসভায় পাঁচজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৫ পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।

 
Electronic Paper