ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আইনের তোয়াক্কা না করেই বাজার সম্প্রসারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া
🕐 ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২১

আইনের তোয়াক্কা না করেই বাজার সম্প্রসারণ

পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা না করেই বগুড়ার ধুনটে তালতলা চারমাথা এলাকায় চলছে বাজার সম্প্রসারণের কাজ। খেয়ালখুশিতেই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে সরকারি কালভার্ট। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে পানি নিষ্কাশনের পথ, হুমকির মুখে পড়েছে কৃষকের কয়েকশ’ একর আবাদি জমি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতার এমন কাণ্ডের মুখ খুলতেও ভয় পাচ্ছেন এলাকাবাসী। অন্যদিকে ফসল ফলাতে না পারলে আগামী দিনগুলো কেমন কাটবে তা নিয়ে আতঙ্কে সময় পার করছেন কৃষকরা। জানা গেছে, তালতলা চারমাথা এলাকায় মথুরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রায় এক বছর আগে বাজার গড়ে তুলছেন। দিন দিন বাজারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অধিক লাভের আশায় ফসলি জমি ভরাট করে হলেও অনেকে গড়ে তুলছেন দোকান। এ কাজে স্থানীদের মধ্যে আবদুল হাকিম, মকুল হোসেন, সুলতান মাহমুদ, আনোয়ার হোসেন ও শাহ আলমের মধ্যে যেন চলছে প্রতিযোগিতা। ইতিমধ্যে ৩টি কালভার্টের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করতে দেখা গেছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে পানি নিষ্কাশনের পথ।

সূত্র বলছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) অর্থায়নে কালভার্টগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে পাকা সড়ক সংস্কারের কাজও চলমান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, ক্ষমতাসীন দলের নেতার প্রভাব খাটিয়ে পরিবেশ বিরোধী এমন সব কাজ করা হচ্ছে। তিনটি কালভার্টের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু দিন পরই বৃষ্টি নামতে পারে। এতে ফসল ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে ইরি ও বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। তবে কালভার্টের মুখ বন্ধকারীদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, ‘নিজেদের জায়গায় দোকান করার জন্য মাটি ভরাট করেছি। অন্যকারও জায়গায় মাটি ভরাট করিনি। নিজের প্রয়োজনে কালভার্টের মুখ ভরাট করছি। এতে কার কী ক্ষতি হলো, সেটা দেখার সময় নেই।’

যদিও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম জানান, পরিবেশ আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরকারি কালভার্ট ও জলাধার বন্ধ করে কোনো প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনা নির্মাণ করতে পারেন না। করলে তা আইনের লঙ্ঘন হবে। তদন্ত পূর্বক এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোর্তজা বলেন, কালভার্টের পাশে বসবাসকারী ভূমি মালিকদের সঙ্গে কথা বলে বিকল্প পদ্ধতিতে ফসলি জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।

 
Electronic Paper